সৌদি আরবে কেন্দুয়ার পলাশের আত্মহত্যা সমাচার

কোহিনূর আলম প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল , ২০২৫ ১২:৩৪ আপডেট: ২৮ এপ্রিল , ২০২৫ ১২:৩৪ পিএম
সৌদি আরবে কেন্দুয়ার পলাশের আত্মহত্যা সমাচার
সেলিনা আক্তার -ফেল ফেল করে চেয়ে আছেন । আদরের ছোট ছেলে পলাশ ফিরে আসবে

সেলিনা আক্তার -ফেল ফেল করে চেয়ে আছেন । আদরের ছোট ছেলে পলাশ ফিরে আসবে । শেষ দেখা তাকে দেখবে । সর্বস্ব বিক্রয় ও ধারদেনা করে গত ৯ মাস আগে যাকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছিলো ; স্থানীয় একজনের (তাদের ভাষায়- দালালের) মাধ্যমে । কথা ছিলো কোম্পানিতে কাজ দেবে, নিয়মিত বেতন দেবে, আকামা দেবে । কিন্তু কথা মতো কিছুই পায় নি পলাশ । ফলে ধার দেনার চাপে নিরাপত্তাহীন ও অনিশ্চয়তার জীবন ছেড়ে আত্মহত্যা করে পলাশ । ঘটনাটি জানাজানি হয়, গত শুক্রবার সৌদি আরব প্রবাসী পলাশের চাচাতো ভাই আল আমিনের মোবাইল কলের মাধ্যমে । পলাশের মা সেলিনা আক্তার ভাঙা কণ্ঠে বলেন, আমার পলাশের লাশটা ফেরত চাই । অনেক কষ্ট আর যন্ত্রণায় সে আত্মহত্যা করেছে । পলাশের চাচাতো ভাই মোঃ কায়কোবাদ ও পলাশের আপন বড় ভাই মোঃ রানা মিয়া বলেন, কুতুবপুর গ্রামের প্রণয়ের মাধ্যমে সৌদি আরব গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ করে পলাশ । আমরা এই প্রতারকের বিচার চাই । 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের কাউরাট ইটাচকি গ্রামে পলাশের মা ও ভাইদের সাথে কথা হলে এ সব তথ্য জানা যায় ।

অভিযুক্ত প্রণয়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে  তিনি বলেন, সবকিছু নিয়মানুসারে চলছিলো । কোম্পানিতে কাজ করছিলো ও বেতনও পাচ্ছিলো । কিন্তু  সে অসুস্থতা জনিত কারণে ডাক্তার দেখিয়েছিলো । তিনি আরো বলেন, আমার সাথে পলাশের নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো । পরিবারের অভিযোগ ঠিক নয় । লাশ ফিরিয়ে আনা হবে ।  লাশ ফিরিয়ে আনার প্রসেসিং চলছে । সে আমার এলাকার ভাই । আপনাকে কিছু ডকুমেন্টস পাঠাচ্ছি । দেখবেন প্লিজ ।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)  মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই । লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo