বীরগঞ্জে সীমাহীন নিয়োগ বাণিজ্য, ইউএনও সহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বঞ্চিত প্রার্থী।

মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ সবুজ প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারী , ২০২৫ ১৬:২৮ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারী , ২০২৫ ১৬:২৮ পিএম
বীরগঞ্জে সীমাহীন নিয়োগ বাণিজ্য, ইউএনও সহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বঞ্চিত প্রার্থী।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মুরারীপুর দাখিল মাদ্রাসায় নিয়ম বহির্ভূত অবৈধভাবে, ঘুষ গ্রহণ, মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন তথা প্রচুর নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে মাদ্রাসা সভাপতি ফজলে এলাহী এবং সুপার নুর আহম্মদ যোগসাজশে ৩ টি পদে বিধি লংঘন করে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন।
সহ-সুপার, আয়া ও নিরাপত্তা প্রহরী ৩ পদে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহন করার গুরুতর অপরাধে নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থী শরীফ আহম্মদ বাদি হয়ে দিনাজপুর  সহকারী জজ আদালতে ৮/২০২৫ অন্য মামলা দায়ের করেছেন। বাদি অভিযোগ করে জানান সভাপতি ও বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী, তৎসঙ্গে মাদ্রাসা সুপার নুর আহম্মদ ক্ষমতার অপব্যবহার, নীতিমালা অমান্য, বিধিবহির্ভূত, অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদানকৃত ৩ জনকে বাতিল এবং সংশ্লিষ্ট ঘুষখোর অপরাধীগনের শাস্তি নিশ্চিত করে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পুনঃ নিয়োগের জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মামলার বাদি ও নিয়োজিত বিজ্ঞ এ্যাডভোকেট হযরত আলী বেলালীর সাথে কথা হলে তারা জানান মাদ্রাসা বোর্ড গত ৬ জানুয়ারি'২০২৫ মোতাবেক সকল দাখিল মাদ্রাসা সমুহের কমিটি বিলুপ্ত করে এডহক কমিটি গঠন ও আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি ইউএনও ফজলে এলাহী এবং মাদ্রাসা সুপার নুর আহম্মদ জারিকৃত আদেশ অমান্য করে অন্যায় ও অসৎ উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি ঐ ৩ পদে ২৫ জানুয়ারি'২০২৫ তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ এবং অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদান করেন। অবৈধ মোটা অংকের ঘুষের দরুন মিথ্যা, বানোয়াট, ভুয়া, কর্তৃত্ববহির্ভুত বানোয়াট, অকার্যকর নিয়োগ বাতিলে চেয়ে অভিযুক্ত সভাপতি ইউএনও বীরগঞ্জ, মাদ্রাসা সুপার, অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত ৩ জন সহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনের বিরুদ্ধে ঐ মামলা করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলা আমলে নিয়ে  বিবাদীগনকে ইতোমধ্যে সমন ইস্যু করেছেন মর্ম স্বীকার করেছেন সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারি সুপার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার  এবং সংশ্লিষ্টরা। মুরারিপুর এলাকার অনেকে জানান মাদ্রাসা সুপার ও সভাপতি চরম স্বেচ্ছাচারী ঘুষখোর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এ ব্যাপারে সরজমিন গিয়ে অভিযুক্ত সভাপতি ফজলে এলাহী এবং মাদ্রাসা সুপার নুর আহম্মদ কে পাওয়া যায়নি। অনেকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নাই।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo