এ বিষয়ে লোহাগাড়া খাদ্য কর্মকর্তা অসিত বরণ তালুকদারের অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চাউল কম হওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা সেটি গুদাম ইনচার্জ শহিদুল আজিম ভালো বলতে পারবেন কারন মাল বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব ওনার।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলাধীন ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে বিশেষ করে ২নং আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ১৫০ জন সুবিধাভোগীর মাঝে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে ভিজিডির চাল দেওয়ার কথা থাকলেও বস্তা প্রতি থেকে ২-৩ কেজি চাউল কম দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টার সময় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২নং আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে সুবিধাভোগীর মাঝে চাউল বিতরণের সময় ডিজিটাল স্কেলে ৮-১০ বস্তা ওজন করলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সুবিধাভোগী জানান আমরা সবসময় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্তা রেখে ভিজিডির ৩০ কেজি চাউলের বস্তা খুশি মনে নিয়ে গেছি, আজকে বস্তার আকার আকৃতি সন্দেহজনক মনে হলে পরিষদ সংলগ্ন মুদি দোকানের ডিজিটাল স্কেলে মেপে দেখলে আমার একটিতে ২৮ কেজি ২শ গ্রাম, আরেকটিতে ২৯ কেজি একশ গ্রাম এবং অপরটিতে ২৩ কেজি ২ শ গ্রাম পাওয়া যায় ।
এ বিষয়ে পরিষদে চাউল কম কেন জানতে চাইলে উল্টো বকাঁঝকা করে তাড়িয়ে দেয়। বস্তা প্রতি চাউল কম থাকার বিষয়ে ২নং আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অপু চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, লোহাগাড়া খাদ্য গুদাম হতে ১৩ হাজার ৫ শ কেজি বা ৪৫০ বস্তা চাউল আমাকে বুঝিয়ে দেন। বস্তায় চাউল ওজনে কম হওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এ বিষয়ে লোহাগাড়া খাদ্য কর্মকর্তা অসিত বরণ তালুকদারের অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চাউল কম হওয়ার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা সেটি গুদাম ইনচার্জ শহিদুল আজিম ভালো বলতে পারবেন কারন মাল বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব ওনার।
লোহাগাড়া খাদ্য গুদাম ইনচার্জ শহিদুল আজিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব চাউল বুঝিয়ে দেওয়া এবং ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব চাউল বুঝিয়ে নেওয়া, এখন আমি আমার দায়িত্বমত ৪৫০ বস্তা×৩০ কেজি= ১৩,৫০০ কেজি ঐ পরিষদের সচিব অপু চৌধুরীকে বুঝিয়ে দিয়েছি সেখানে বস্তায় চাউল কম হয়ে থাকলে আমার কিছু করার নেই তারাই ভালো জানবে। ভিজিডির চাউল প্রতি বস্তায় কম থাকার বিষয়ে ২ নং আমিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এস.এম ইউনুচের কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, উপজেলা খাদ্য গুদাম হতে বুঝিয়ে দেওয়া ভিজিডির প্রতি বস্তা থেকে ২-১ কেজি নিয়ে ফেলেছি, আবার সেলাইও করে দিয়েছি আপনারা নিউজ করেন বলে সাংবাদিকদের সাফ জানিয়ে দেন।