প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পের অগ্রগতি নিরীক্ষণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় বাকৃবির রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম ও বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পরেশ কুমার শর্মা। রেজিস্ট্রার বলেন, বাকৃবিতে প্রথমবার ইউজিসি এমন আয়োজন করেছে। তাদের এই উদ্যোগটি সত্যি প্রশংসনীয়। এর মাধ্যমে ইউজিসি গবেষণা প্রকল্পে যে বরাদ্দ প্রদান করে তার যথাযথ জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। বাকৃবির রেজিস্ট্রার আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি একান্তভাবেই কৃষি নির্ভর। আমাদের জাতীয় উন্নয়ন তাই কৃষি উন্নয়নের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। জনবল, জমি ও জল-এ ত্রিবিধ সম্পদে বাংলাদেশ অনন্যভাবে সমৃদ্ধ। এ সম্পদের বিজ্ঞানসম্মত ও পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে এ দেশের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব। এ জন্যে প্রয়োজন বিজ্ঞান ভিত্তিক কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণ। তিনি আরও বলেন, ইউজিসির অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে দেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। বর্তমানে বাকৃবিতে ইউজিসির বরাদ্দকৃত প্রকল্প ভিত্তিক গবেষণায় ১ কোটি ৩১ লক্ষ ২২ হাজার টাকার প্রকল্প চলমান রয়েছে। গবেষণা কার্যক্রমের ফলে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে যা কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। এসব গবেষণা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রসার এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর আগে সকালে ইউজিসির একটি বিশেষায়িত দল এক কর্মশালার মাধ্যমে বাকৃবিতে ৪৭টি গবেষণা প্রকল্পের অগ্রগতি নিরীক্ষণ করেছে। এই বিশেষায়িত দলটির নেতৃত্বে ছিলো ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব। এর মধ্যে বাকৃবি থেকে বিভিন্ন বিভাগের ৪৪টি গবেষণা প্রকল্প ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি গবেষণা প্রকল্প নিরীক্ষণ করেছে বিশেষায়িত দলটি। কর্মশালায় চলমান গবেষণা প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা, গবেষণা কার্যক্রমের অগ্রগতি ও প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ, গবেষকদের উদ্ভাবন ও চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করণ এবং গবেষণা কার্যক্রমের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে।