মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরএককরিয়া ইউনিয়নের লালখারাবাদ পোলতাতলি খেয়াঘাট সংলগ্ন পানি মিটার বরাবর গজারিয়া নদীতে স্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে ওই এলাকার কুচক্র একটি মহল কোন প্রকার ইজারা ছাড়াই বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, বিএনপি সিনিয়র নেতাদের নাম ভাংগিয়ে অবৈধভাবে স্যালো মেশিন দিয়ে নদীতে বালু উত্তোলন করে নদীর কূলে বসতি স্থাপন বাড়ি ঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান লঞ্চঘাট ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়েছে।
এ নিয়ে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার কবির হোসেন বাঘা, রতন দেওয়ান, ইউনুস হাওলাদার, মিজান হাওলাদার, মন্জু ভূইয়া সাং চরহোগলা,শুভ সাং খরকি, রায়হান সহ একাধিক ব্যাক্তি উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা আসাদুজ্জামান মুক্তা'র নাম বলে গজারিয়া নদী থেকে ইজারা ছাড়াই স্যালো মেশিন বসিয়ে লাখ লাখ টাকা বালু উত্তোলন করে দেদারছে বিক্রি করছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা জানান, মেহেন্দিগঞ্জ নদীবেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা এভাবে যদি বালু উত্তোলন চলে ভবিষ্যৎ মারাত্মক হুমকির মুখে পরবে, প্রশাসন থাকতে কিভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলে? বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে নদীর কূল বসতি বাড়িঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সরকারি স্থাপনাসহ এই জনপদ ধ্বংস হয়ে যাবে।
স্থানীয় আরও কয়েকজন কৃষক জানান, এখানে বালু ব্যবসা করছেন একটি কুচক্র মহল। তাদের কিছু বলা যায় না। আর এই বালুর কারণে তারা কোনো ফসলই আবাদ করতে পারছেন না। সব জমি আস্তে আস্তে বালু ব্যবসায়ীরা বালু কেটে নিচ্ছে । এ রকম চলতে থাকলে কিছুদিন পর আর চাষযোগ্য জমি থাকবে না।
এ পথে নিয়মিত চলাচল কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তাদের মধ্যে সেকান্দর মিয়া বলেন, বালু উত্তোলনের সময় স্যালো মেশিনের শব্দের কারণে মারাত্মক ভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বাচ্চাদের পড়াশোনা বিঘ্নঘটে। তিনি আরো বলেন,রাস্তা কেটে পাইপ নেওয়া হয়েছে, যার কারণে কমলমতি শিশুরা বিদ্যালয় পাঠদান করতে যেতে পারে না , উপজেলা প্রশাসন কে দ্রুত অবৈধ্য বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন।
স্থানীয়রা মানববন্ধন করেন এবং ভুক্তভোগীদের দাবি দ্রুত অবৈধ ড্রেজার বালু ব্যাসায়ীকদের দ্রুত আইনের হস্তক্ষেপ কামনা করে।