দীঘিনালায় ভারি বর্ষণে দীঘিনালায় নিম্নাঞ্চল  প্লাবিত

মোঃ সোহেল রানা প্রকাশিত: ৩ আগস্ট , ২০২৪ ১৫:২৮ আপডেট: ৩ আগস্ট , ২০২৪ ১৫:২৮ পিএম
দীঘিনালায় ভারি বর্ষণে দীঘিনালায় নিম্নাঞ্চল  প্লাবিত
উপজেলার-মেরুং, কবাখারী, বোয়ালখালী দীঘিনালা ইউনিয়নের সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়েছে। মেরুং-লংগদু সড়কের দাঙ্গাবাজার মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে কবাখালী মাইনী ব্রিজ সংলগ্ন কবরস্থান এলাকার দীঘিনালা-সাজেক মেইন রাস্তায় পানিতে তলিয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে থেকে টানা প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ি   দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল  প্লাবিত হয়েছে বন্যার আশংখা রয়েছে।

উপজেলার-মেরুং, কবাখারী, বোয়ালখালী দীঘিনালা ইউনিয়নের সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল  গুলো প্লাবিত হয়েছে। মেরুং-লংগদু সড়কের দাঙ্গাবাজার মূল সড়ক প্লাবিত হয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে কবাখালী মাইনী ব্রিজ সংলগ্ন কবরস্থান এলাকার দীঘিনালা-সাজেক মেইন রাস্তায় পানিতে তলিয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।

মেরুং ইউনিয়ন এর ছোবাহানপুর, চিটাগাংপাড়া, ১নং কলোনি, ৩নং কলোনি এলাকায় নিম্নাঞ্চল পানি ডুকে পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও উপজেলার , কবাখালী, বোয়ালখালী, মেরুং ও দীঘিনালা ইউনিয়নের এলাকার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো ভারি বর্ষণে প্লাবিত সহ বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এতে বাড়তে পারে জন দুর্ভোগও।

ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। টানা প্রবল বর্ষণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপজেলা প্রশাসন কতৃক খোলা হয়েছে জরুরি সেবাকেন্দ্র ও মেরুং, কবাখালি,বোয়ালখালী, বাবুছড়া সহ চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয় কেন্দ্র।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোছা মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন এ বন্যায় বেশি ক্ষতির আশংকা থাকেইতিমধ্যে চার/পাঁচটি এলাকায় পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্ধি এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ন এলাকার মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্র চলে আসার জন্য। কবাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: আব্দুল আলিম বলেন, গতরাত ভর টানা বর্ষেনে উজানে পানি নেমে এসে ইতিমধ্যো রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, নিচু এলাকার বাড়িঘরেও পানিতে চলিয়ে যাচ্ছে এভাবে বৃষ্টি ঝড়তে থাকলে রাতে দিকে বন্যার আশংখা রয়েছে।

কবাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জ্ঞান চাকমা জানান, টানা বৃষ্টিপাতের করনে পাহাড়ি ঢলে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে, যে কোন সময় বন্যা দেখা দিতে পারে। তবে কবাখালী ইউনিয়নে ৫টি আশ্রয় কেন্দ্র রাখা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, টানা ভারি বৃষ্টির কারণে উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চারটি ইউপিতে খোলা হয়েছে ২১ টি আশ্রয়কেন্দ্র।

যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসন প্র¯‘ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোছা: মাহমুদা বেগম লাকী জানান, দুই মাস ব্যবধানে আবার বন্যা দেখা দিয়েছে। মেরুং ইউনিয়নে ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আসতে শুরু করেছে। মূল সড়কে পানিতে তলিয় গেছে এতে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo