মারধরের স্বীকার ওই ষাট উর্দ্ধো বৃদ্ধা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, বাড়ির জমি জমা নিয়ে বাবার সাথে কথার কাটাকাটি হয়। বাবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে এবং এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে বাবার মাথা ফাটিয়ে বাড়িতে ফেলে রেখে চলে যায় পুত্র সোহেল। আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুত্বর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধ সোহরাফকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। বৃদ্ধ সোহরাফ জানান, আমি সরকার থেকে একটু খাস জমি বরাদ্দ পেয়ে সেখানে বসবাস করি। আমার পুত্র সোহেল উক্ত জমি থেকে আমাকে তাড়াইয়া দিতে একাধিকবার আমার উপর আক্রমন করে। বিএনপির কিছু স্থানীয় নেতার ছত্রছায়ায় আমার পুত্র নানা অপকর্ম করে এবং আমাকে লোকজন নিয়ে এসে নানা নির্যাতন করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি। শেষ বয়সে বাবা মা ছেলের কাছে নিরাপদ থাকার কথা। সেই ছেলের হাতেই লাঞ্ছিত বৃদ্ধ বাবা। এমন ছেলেকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় এলাকাবাসী। ছেলের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, স্থানীয় বিএনপি নেতা লিটুর ছত্রছায়ায় এলাকার ভিতরে হাঙ্গামা তান্ডব চালায় এই ছেলে। মাদকের সাথে জড়িত রয়েছে এমন অভিযোগ করেন অনেকে। এ বিষয় স্থানীয় বিএনপি নেতা লিটুর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।