খোকসায় মৃত্যুর মুখে সিরাজপুর হাওড় নদী

মাহাবুব হোসেন প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল , ২০২৪ ০৬:৫৭ আপডেট: ১৪ এপ্রিল , ২০২৪ ০৬:৫৭ এএম
খোকসায় মৃত্যুর মুখে সিরাজপুর হাওড় নদী
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার সিরাজপুর হাওড় নদী এখন মৃত খালে পরিণত হয়েছে। নদীর উৎস মুখ ও ভাটিতে নদীর মিলন স্থলে স্লুইস গেট নির্মাণ করায় নদীর প্রাকৃতিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও নদীটির কোথাও পানি থাকে না।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার সিরাজপুর হাওড় নদী এখন মৃত খালে পরিণত হয়েছে। নদীর উৎস মুখ ও ভাটিতে নদীর মিলন স্থলে স্লুইস গেট নির্মাণ করায় নদীর প্রাকৃতিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও নদীটির কোথাও পানি থাকে না।

নদীটিকে ঘিরে সরকারের নেওয়া আধুনিক চাষাবাদের জন্য সেচ প্রকল্প প্রায় দুই যুগেও আলোর মুখ দেখেনি। সমিতির মাধ্যমে নদীতে মাছ চাষ প্রকল্পটিও মুখ থুবরে পরেছে। আর এলজিইডি কতৃপক্ষ বলছে দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন তারা।

জেলার একমাত্র প্রাকৃতিক হাওড় নদী খোকসা সিরাজপুর মৌজায় গড়াই নদী থেকে উৎপত্তি। ২১ কিলোমিটার ভাটিতে মাগুড়া জেলার শ্রীপুরের আলমসা ইউনিয়নে গিয়ে আবার গড়াই নদীতে মিশেছে। চার দশক আগে বর্ষা মৌসুমে হাওড় নদীতে ইলিশ মাছ ধরার বাইণ পড়ত। বাইরে থেকে জেলেরা নৌকা নিয়ে আসত।

৯১ সালের পরবর্তী সময়ে নদী দুই তীরের হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমিতে সেচের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া হাওড়ে মৎস্য সমিতির মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতির মাছ চাষের প্রকল্প নেওয়া হয়। ওই সময়ের কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ১৫০ মিটার প্রশস্ত নদী ৩৫ মিটার প্রশস্ত করা হয়। নদীর স্বভাবিক পানির প্রবাহ ঠেকাতে নদীর উৎস্য মুখ ও ভাটির মিলন স্থলে একাধিক স্লুইস গেট তৈরি করা হয়। ফলে উৎস্য নদী গড়াই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হাওড় নদী শুকিয়ে মৃত খালে পরিণত হয়। ফলে নদীর দুই তীরের কয়েক লাখ বিঘা কৃষি জমির সেচ সুবিধা বন্ধ হয়ে গেছে।

সম্প্রতি ৮ এপ্রিল সোমবার এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস ভিক্টরের নেতৃত্বে নদীর উৎস্য মুখ ও ভাটিতে নদীর মিলন স্থলে স্লুইস গেট এলাকা পরিদর্শন করেন এলজিইডি সদর দফতরের সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট শাখার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম।

পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, মূল নদীর (গড়াই নদী) পানি শুকনো মৌসুমে অনেক নীচে থাকে। সেকারণে সিরাজপুর হাওড় নদীতে পানি থাকে না। এজন্য স্লুইস গেট ভেঙে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে না। হাওড় নদীও খননের আওতায় আনতে হবে। আগামীতে হাওড়ের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনতে এলাকাবাসীকে আশ্বাস দেন তিনি।

তবে শুধু আশ্বাসের বাণী নয় দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চান এলাকাবাসী। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo