ফরিদপুর সদর উপজেলার শিবরামপুর এলাকায় একটি ভেজাল গুড়ের কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় কারখানা থেকে প্রায় ২৪ হাজার কেজি ভেজাল আখের গুড় এবং ৩০০০ কেজি গুড় তৈরির বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে কারখানাটি সিলগালা ও কারখানার মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এর দেওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার শিবরামপুরের ছোট বটতলা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, কারখানার মালিক শিবরামপুর এলাকার প্রিয়নাথ শীলের ছেলে স্বপন কুমার শীল প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ ভেজাল গুড় উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত।
কারখানায় ফিটকিরি, কাপড়ের রং,কোরিয়ান এক ধরনের আঠা, ঘন চিনিসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল ব্যবহার করে আখের গুড় তৈরি করা হতো, যা মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
নামে আখের গুড় হলেও এর মধ্যে আখের কোন ছিটেফোঁটা নেই। সম্পূর্ণ কেমিক্যাল। তৈরি করার ৪/৫ মাস পরেই এই গুড় গলে পানি হয়ে যায়। সেই গুড়ও পুনরায় প্রসেসিং করে বাজারজাত করা হয়। অভিযানের বিষয়টি আগে থেকে টের পেয়ে কারখানার মালিক দুপুরের দিকে প্রায় ৯ হাজার ৬’শ কেজি গুড় নারায়নগঞ্জ জেলায় পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদুর রহমান জানান, এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অনুমোদনহীন ভেজাল গুড় উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাতকরণের দায়ে কারখানার মালিককে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৫ ও ৫৬ ধারায় ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজেদুর রহমান। অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশও দেয়া হয় অভিযুক্ত কারখানা মালিক স্বপন কুমার শীলকে। একই সাথে কারখানাটি সিলগালা ও মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়