বিংশ শতাব্দীর গ্রাম-গঞ্জ এখন একবিংশ শতাব্দীর নগর,শহর।বদলে গেছে জীবনযাপনের ধরন,খাদ্যাভ্যাস,চিন্তা-চেতনা, দৃষ্টিকোণ। যার ফলশ্রুতিতে কমেছে আয়ু,বেড়েছে রোগবালাই। কেতাদুরস্ত জীবন হয়েছে যন্ত্রনির্ভর।এখন মানুষ নয়,কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিদ্ধান্ত নেয় মানুষ কী করবে,কী করবে না। যান্ত্রিক ফরম্যাটের জীবনযাপনের অনেকগুলো নেতিবাচক দিকের মধ্যে একটি হল প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করে 'খাল কেটে কুমির আনা' বায়ুদূষণ। আজকের পীরগঞ্জ শুষ্ক কাঁশি,অ্যাজমায় ভুগছে। যা অপরিকল্পিত, অবিমৃষ্যকারী নগরায়নের ফল।সেই সাথে যুক্ত হয়েছে শহরসংলগ্ন শিল্পায়ন।
বায়ুদূষণ হল বায়ুমণ্ডলে এমন সব পদার্থের উপস্থিতির কারণে হওয়া দূষণ যা মানুষ এবং অন্যান্য জীবের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।এটি মূলত রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপ, শারীরিক বা জৈব মাধ্যম দ্বারা গঠিত ভেতরের বা বাইরের পরিবেশের একপ্রকার দূষণ যা বায়ুমণ্ডলের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলোকে পরিবর্তন করে দেয়।বিভিন্ন ধরনের বায়ুদূষক রয়েছে, যেমন গ্যাসের মধ্যে রয়েছে অ্যামোনিয়া, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং ক্লোরোফ্লুরোকার্বন।বায়ুদূষণ বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি, অ্যালার্জি থেকে শুরু করে এমনকি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে; এটি প্রাণী এবং খাদ্যফসলের মতই অন্যান্য জীবন্ত প্রাণীর ক্ষতি করতে পারে।
বায়ু দূষণের প্রধান কারণ গাড়ির ধোয়া,কারখানা থেকে নির্গত ধোয়া,ইটের ভাটার চিমনি থেকে নির্গত ধোঁয়া, প্রাকৃতিক গ্যাস( এলএনজি, এলপিজি), কার্বন-মনোক্সাইড,বাস ও ট্রাকের জ্বালানী ডিজেল থেকে নির্গত সালফার-ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি।