পৌরকর অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে বিশাল মানববন্ধন

ফেরদৌস করিম প্রকাশিত: ১১ জুন , ২০২৪ ০৮:৪৩ আপডেট: ১১ জুন , ২০২৪ ০৮:৪৩ এএম
পৌরকর অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঈশ্বরদীতে বিশাল মানববন্ধন
মানববন্ধনের পর দাবি মানা না হলে পৌরসভা ঘেরাওসহ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। ঈশ্বরদী পৌরসভার গলাকাটা হারে গৃহকর আদায়ের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে নগরবাসী।মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পাকশী রেলওয়ে ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আ.ফ.ম রাজিবুল আলম ইভান। সঞ্চালনা করেন ঈশ্বরদী অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক রেজাউল করিম ফেরদৌস এবং সুলতান মাহমুদ খান। বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সরদার, দৈনিক উত্তর জনতার সম্পাদক ও প্রকাশক শহিদুল হাসান ববি সরদার, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আসাদুর রহমান বিরু, প্রভাষক রাশেদুল আওয়াল রিজভী, ঈশ্বরদী আইসিএন এর চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, সাবেক ছাত্রনেতা মেহেদী হাসান, বিগত পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়ন, জাতীয় পার্টির পাবনা জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক রাগিব আহসান রিজভী, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি রিফাজ বিশ্বাস লালন, সাপ্তাহিক সময়ের ইতিহাস পত্রিকার সম্পাদক শেখ মহসিন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান শিহাব, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজিম হায়দার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন,ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সমন্বয়ক সাজ্জাত হোসাইন সুজাত, ভুক্তভোগি বাড়ির মালিক সোহাগ ও রনি প্রমূখ।

ঈশ্বরদীতে পৌরসভায় অযৌক্তিকভাবে পৌরকর বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঈশ্বরদী অনলাইন প্রেসক্লাব ও সচেতন নগরবাসী কমিটি’র উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার (৯ জুন) বিকেলে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ পৌরবাসীদের জিম্মি করে নতুন এ্যাসেসমেন্ট দেখানোর কথা বলে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করছে। ট্যাক্স পরিশোধ না করলে নতুন এ্যাসেসমেন্টে ধার্য কর দেখানো হচ্ছেনা। এটা সম্পুর্ণ অনিয়মতান্ত্রিক জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, ঈশ্বরদী পৌরসভার বর্তমান মেয়র ইসাহক আলী মালিথা অযাচিতভাবে, এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে অস্বাভাবিকভাবে পৌরকর বৃদ্ধি করেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে এমনিতেই সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনে নভিশ্বাস ওঠেছে । এই অবস্থায় অস্বাভাবিক হারে পৌরকর বৃদ্ধি যেন মরার উপর ফাঁড়ার ঘা ।

বক্তারা আরো বলেন, অযোগ্য এই মেয়রের ঘাড়ে হাত রেখে একটা শ্রেণী লুটপাট করে খাচ্ছে। পৌর সমস্যা দূরীকরণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিকরণে কাজ না করে শুধু দফায় দফায় পৌরকর বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

মানববন্ধনের পর দাবি মানা না হলে পৌরসভা ঘেরাওসহ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। ঈশ্বরদী পৌরসভার গলাকাটা হারে গৃহকর আদায়ের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে নগরবাসী।মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পাকশী রেলওয়ে ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আ.ফ.ম রাজিবুল আলম ইভান। সঞ্চালনা করেন ঈশ্বরদী অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক রেজাউল করিম ফেরদৌস এবং সুলতান মাহমুদ খান। বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সরদার, দৈনিক উত্তর জনতার সম্পাদক ও প্রকাশক শহিদুল হাসান ববি সরদার, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আসাদুর রহমান বিরু, প্রভাষক রাশেদুল আওয়াল রিজভী, ঈশ্বরদী আইসিএন এর চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, সাবেক ছাত্রনেতা মেহেদী হাসান, বিগত পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়ন, জাতীয় পার্টির পাবনা জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক রাগিব আহসান রিজভী, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি রিফাজ বিশ্বাস লালন, সাপ্তাহিক সময়ের ইতিহাস পত্রিকার সম্পাদক শেখ মহসিন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান শিহাব, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজিম হায়দার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন,ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সমন্বয়ক সাজ্জাত হোসাইন সুজাত, ভুক্তভোগি বাড়ির মালিক সোহাগ ও রনি প্রমূখ।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ-রাতে দিনে মশার যন্ত্রণা, ভরাট নালা নর্দমা, রাস্তায় জমে আছে ময়লা আবর্জনার স্তুপ, বাতাসে উড়ছে ধুলাবালু, নেই সড়ক বাতি।নূন্যতম নাগরিক সুবিধা নেই, অথচ গলাকাটা হারে কর আদায়ে নেমেছে ঈশ্বরদী পৌরসভা। এ যেন- ‘ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই কিল মারার গোঁসাই।’ মানুষ নাগরিক সুবিধা বলতে যা বোঝায় তার কিছুই পাচ্ছেনা। জন্মনিবন্ধন কিংবা জাতীয়তা সনদ, ট্রেড লাইসেন্স সহ যাবতীয় সেবা নিতে গেলেও নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অথচ অতিরিক্ত কর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বক্তারা আরো বলেন, অতিরিক্ত গৃহকর আদায়ের সাথে সাথে বাড়ির মালিকেরা ঘরভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। লাগামহীন মূল্যস্ফীতিতে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। দফায় দফায় বাড়ছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম। এ অবস্থায় কর আদায় সহনীয় পর্যায়ে আনা না হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট, দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে। তারা বলেন, সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নেমেছে। মেয়রের উচিত তাদের সাথে বসে তাদের কথা শোনা। আর তা না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।

এবিষয়ে ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইসহাক আলী মালিথা জানান, ঈশ্বরদী পৌরসভার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতেই এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে । পৌরসভার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে পৌরকর আদায়ের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo