লেখাপড়ায় প্রতিযোগিতামূলক মনোবৃত্তি সৃষ্টিতে বৃত্তি পরীক্ষা সহায়ক ভূমিকা রাখে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেছেন- শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকারসমূহের অন্যতম একটি। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে থাকে পুরো সমাজ। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ খুঁজে পায় সঠিক পথের সন্ধান। জ্ঞান প্রদীপের মাধ্যমে জ্ঞানী যেমনিভাবে নিজেকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে, তেমনিভাবে সমাজের অবহেলিত, অত্যাচারিত এবং পিছিয়ে পড়া মানবতাকেও যথার্থ পথনির্দেশ ও পরিচালিত করবে। তাই জাতীয় জীবনে একটি সুশিক্ষিত, মেধাবী, কর্মক্ষম ও আদর্শ প্রজন্ম সৃষ্টির অহর্নিশ প্রয়াস বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই।
শহীদ লিয়াকত স্মৃতি সংসদের প্রধান উপদেষ্টা বরেণ্য আলেমেদ্বীন অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন বলেছেন-
শিক্ষার্থীদের মেধা- মননের বিকাশ তথা স্খলনমুক্ত ও নৈতিকতাসমৃদ্ধ একটি আদর্শিক প্রজন্ম গঠনের মহান প্রয়াসে
দীর্ঘ ২৭ বছর যাবত শহীদ লিয়াকত স্মৃতি সংসদ মেধা বৃত্তি আয়োজনের মধ্য দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন কাজ আঞ্জাম দিয়ে আসছে। তিনি একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার অপরিহার্যতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে
ঢেলে সাজানোর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উদ্বোধকের বক্তব্যে পীরে তরিকত আল্লামা শাহ আব্দুল করিম আল কুতুবী বলেছেন-
শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় প্রতিযোগিতামূলক মনোবৃত্তি সৃষ্টির মাধ্যমে অধিকতর দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে বেসরকারিভাবে শহীদ লিয়াকত স্মৃতি সংসদ এর এহেন বিশাল কর্মযজ্ঞ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঐতিহ্যবাহী শহীদ লিয়াকত স্মৃতি সংসদ এর উদ্যোগে অদ্য ২৩ জুন '২৫ সোমবার বিকেল ২ টায় নগরীর এলজিইডি ভবনস্থ মিলনায়তনে শহীদ লিয়াকত স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৪ এ বৃত্তিপ্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণী ও সংবর্ধনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। শহীদ লিয়াকত স্মৃতি সংসদ এর পরিচালক কাজী মোহাম্মদ আহসানুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল ইসলাম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-শহীদ লিয়াকত স্মৃতি সংসদ এর প্রধান উপদেষ্টা বরেণ্য আলেমেদ্বীন অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পীরে তরিকত আল্লামা শাহ আব্দুল করিম আল কুতুবী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স ম হামেদ হোসাইন, অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, ব্যাংকার হাফেজ মাওলানা সালামত উল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা ছৈয়দ মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন তৈয়বী, অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী আবদুল হান্নান, অধ্যক্ষ আল্লামা হেলাল উদ্দীন আলকাদেরী, মাস্টার আনোয়ারুল আজিম, এ এস এম কাউসার, কফিল উদ্দীন রানা, অধ্যাপক শহিদুল্লাহ সাদা, লায়ন মোহাম্মদ এমরান, আনিসুর রহমান, মাওলানা আবদুল মালেক, আশরাফী, রেজাউল করিম, আহমদ রেজা, গোলাম মোস্তফা তানভীর। হাফেজ মোহাম্মদ মনির উদ্দীন এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- নুরুল আবছার, সাইফুল ইসলাম লিটন, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দীন জাহেদ, রাসেদুল ইসলাম রাসেল, শহিদুল ইসলাম, মাসরুর রহমান, জিল্লুল করিম কুতুবী, মোহাম্মদ ফোরকান, ইশতিয়াক রাফি, সিরাজ, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, জাবেদ, তাহসীন, মহরম আলী ও ইকবাল প্রমূখ।