শেরপুরে ১০ দিন ধরে নিখোঁজ অটোচালকের সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন

মোঃ মানিক মিয়া প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল , ২০২৪ ১১:৫৩ আপডেট: ৬ এপ্রিল , ২০২৪ ১১:৫৩ এএম
শেরপুরে ১০ দিন ধরে নিখোঁজ অটোচালকের সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন
শেরপুরে গত ১০ দিন ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ নিখোঁজ অটোরিকশাচালক মো. এরশাদ আলীর (৩৫) সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও তার স্বজনরা। ৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

শেরপুরে গত ১০ দিন ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ নিখোঁজ অটোরিকশাচালক মো. এরশাদ আলীর (৩৫) সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও তার স্বজনরা। ৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিখোঁজ অটোচালকের স্ত্রী মমেজা বেগমভাই মো. হাসান মিয়া ও মো. রাসেল মিয়ামা আসমা বেগমমেয়ে ইয়াসমিন আক্তারসহ স্বজনরা। এসময় তারা জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছে অটোচালক এরশাদ আলীর সন্ধান চান। মানববন্ধনে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন। এর আগে তারা শহরের কলেজমোড় থেকে একটি মিছিলযোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে পৌঁছান। নিখোঁজের স্বজনরা জানানগত ২৭ মার্চ শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া বাজারীপাড়া এলাকার মো. খোরশেদের ছেলে অটোচালক এরশাদ আলী সদ্য ক্রয়কৃত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে যাননি। ওই ঘটনায় পরদিন ২৮ মার্চ এরশাদের স্ত্রী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। তবে ঘটনার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও তার খোঁজ মেলেনি।

নিহতের ভাই মো. রাসেল মিয়া বলেন২৭ তারিখ আমার ভাই অটোসহ নিখোঁজ হয়। আমরা জিডি করার পর পুলিশ আমাদের জানিয়েছে যেওর লাস্ট লোকেশন গৌরীপুর পর্যন্ত পাওয়া গেছেএরপর ফোন বন্ধ। লাস্ট ফোন কল ছিল সোলাইমান নামে আমাদের এলাকার এক ব্যক্তির সাথে। এই সোলাইমানের কাছে আমার ভাই কিছু টাকা পেতো। ওই পাওনা টাকা নিয়ে নিখোঁজের দিন দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়েছে। পরে সোলাইমান আমার ভাইকে টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে গেছে। এখন সোলাইমানও পলাতক রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন আমাদের তেমন সহযোগিতা করছে না। নিহতের স্ত্রী মমেজা বেগম বলেনআমার স্বামী সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বুধবার বিকেলে আমার হাতে বাজার দিয়ে ইফতার বানাতে বলে সে অটো নিয়ে বের হয়েছিল। এরপর সে আর ফিরে আসেনি। তাকে হারিয়ে ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। আমার সন্তানগুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন আপনারা। এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানানওই ঘটনায় অটোচালকের স্ত্রী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। আমরা তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে খোঁজার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo