দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড জঙ্গল জামিজুরী গুচ্ছ গ্রামে সরকারী খাস খতিয়ান টিলা ভূমিতে অবৈধভাবে ট্রাকে ট্রাকে মাটি বিক্রি করে প্রায় ৪ কানি জায়গায় পুকুর খনন করছে একটি চক্র।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড জঙ্গল জামিজুরী গুচ্ছ গ্রামে সরকারী খাস খতিয়ান টিলা ভূমিতে অবৈধভাবে ট্রাকে ট্রাকে মাটি বিক্রি করে প্রায় ৪ কানি জায়গায় পুকুর খনন করছে একটি চক্র। প্রশাসনের দূরদর্শিতা ও তদারকির অভাবে তথ্য দেয়া গেলেও তার সত্যতা যাচাই করে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণে দেরি হওয়ায় আনুমানিক ৪০ ফিট গভীরতায় বর্তমানে দিঘীতে রূপান্তর হয়েছে পুকুরটি।
সরকার যাদের ভালো থাকার জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে, তারাই পরিবেশের উপাদান চুরি করে নানান উপায়ে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে মাটি বিক্রি করে পরিবেশের ক্ষতি করছে। গুচ্ছগ্রামে আশ্রিত পরিবারগুলো ক্ষমতাশীন লোকের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ও প্রশাসনের মানবিক সহযোগিতায় বে-আইনী নানান ব্যবসায় জড়িয়ে এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে এলাকাবাসীকে আয়ত্তে নিয়ে সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই পুকুর খনন করে আসছে বলে জানা যায়। এ পুকুর খননের ফলে আশ্রয়ন প্রকল্পে বরাদ্ধকৃত ও বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত বার্মার ভাসমান রোহিঙ্গা নাগরিকসহ প্রায় দেড়শ পরিবারের যাতায়াত এখন হুমকীর মুখে এলাকার বাসিন্দারা।ধারণা করা হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা বর্ষাকালে পুকুরে পরে পানিতে ডুবে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পুকুর খননে জড়িত ঐ এলাকার আলী ড্রাইভারের ছেলে ওসমান গণি মাটি বিক্রির কথা স্বীকার করে জানান, আশ্রয়ন প্রকল্প তৈরির সময় ব্যবহারের জন্য যে ডিপ টিউবওয়েল দিয়েছে সেটি দিয়ে সকল পরিবারের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই এতগুলো পরিবারের চাহিদা পূরণ করার জন্য প্রতি পরিবার থেকে ২ হাজার ৫’শ টাকা করে তুলে পুকুরটি খনন করছেন তিনি। অবশিষ্ট টাকা মাটি বিক্রি করে তুলে নিচ্ছেন বলেও জানান।
এই বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তারা সরেজমিনে গিয়ে পুকুরটি পরিদর্শন করেন। তাদেরকে কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেন। ভবিষ্যতে সরকারিভাবে লিজের মাধ্যমে পুকুরটি সংস্কার ও সংরক্ষণ করা দায়িত্ব নিবেন বলেও জানান তিনি।