পরিদর্শন না করে কিছু বলতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা আগুনে কংক্রিট ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঝুঁকিতে কী জাবির হোটেল

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ১২ আগস্ট , ২০২৪ ১৬:৫৩ আপডেট: ১২ আগস্ট , ২০২৪ ১৬:৫৩ পিএম
পরিদর্শন না করে কিছু বলতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা আগুনে কংক্রিট ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঝুঁকিতে কী জাবির হোটেল
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এখনো সেটি পরিদর্শন করা হয়নি। পরিদর্শন না করে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসনের ‘ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা কমিটি’।

দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত যশোর শহরের জাবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেলটি ঝুঁকিপূণ অবস্থায় রয়েছে কি না সেই বিষয়ে অবগত নয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এখনো সেটি পরিদর্শন করা হয়নি। পরিদর্শন না করে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসনের ‘ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা কমিটি’।

সরেজমিন দেখা যায়, আগুন আর ধোঁয়ায় কালো হয়ে যাওয়া ১৬ তলা ভবন দাঁড়িয়ে আছে কালো রঙের মূর্তির মতো। ভবনটির বিভিন্ন পাশ গ্লাস ঘেরা ছিল। আগুনের তাপে সেসব ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। কিছু কাঁচ বিপদজনক অবস্থায় ঝুলছে। আগুনে পোড়া  ভবনটি যেন কংক্রিটের কংকালে পরিণত।গত ৫ আগস্ট শহরের চিত্রার মোড়ের ১৬ তলা ওই হোটেলটিতে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। আগুনে হোটেলটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কংক্রিটের কাঠামো ছাড়া ভেতরের কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।

শহরের চিত্রা মোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হোটেলটির পাশের দুটি সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এমন ভয়ঙ্কর রূপ দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন ক্ষতিগ্রস্ত জাবির হোটেলের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ কী না। এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত জাবির হোটেলের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ কি না সেটি এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ভবনটির কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার সেটি ভালো বলতে পারবেন। ভবন পরিদর্শন করে ও  নকঁশা দেখে ঝুঁকিপূর্ণ কি না সেই ঘোষণা দেবেন। এ ছাড়া গণপূর্ত বিভাগ ও পৌরসভাও এটি বলতে পারবে।

গণপূর্ত বিভাগের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, জাবির হোটেলের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন না করে বলা যাবে না এটির কংক্রিট কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবন মালিক যদি আবেদন করেন তাহলে পরিদর্শন করে বলা যাবে সেটি ঝুঁকিপর্ণূ কি না। এ ছাড়া পরিদর্শন করা হয় না। তিনি জানান, কেউ আবেদন করলে পরিদর্শন করে এ সম্পর্কে বলা যাবে।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, জাবির হোটেলের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ঝুঁকিপূর্ণ কি না অফিসে না গিয়ে বলতে পারবো না।

যশোর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শরীফ হাসান জানান, জাবির হোটেলের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন এখনও পরিদর্শন করা হয়নি। একারণে ঝুঁকিপূর্ণ কি না বলতে পারবো না। জেলা প্রশাসনের ‘ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা কমিটি’ সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বলতে পারবো। কিম্বা ওই কমিটি বলবে এ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ কি না ।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo