নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় জাহিদ হোসেন (২৮) নামে এক দর্জি শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় জাহিদ হোসেন (২৮) নামে এক দর্জি শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এবং জাহিদ দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন নেশাদ্রব্যে আসক্ত ছিল। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মলংচর গ্রামের নোয়াবাড়ি থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। জাহিদ ঐ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। পুলিশ জানায়, পরিবারের পক্ষ থেকে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাহিদ গত বৃহস্পতিবার ভোরে পরিবারের লোকজনের অগোচরে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। নিহতের ভাগ্নে মো. মারুফ সাংবাদিকদের বলেন, মামা সৌদি আরব থেকে আসার পর স্থানীয় কালিরহাট বাজারে দর্জির দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। সম্প্রতি দোকানের ভাড়া দিতে না পারায় মালিক দোকান থেকে তাকে বের করে দেন। পরে বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করতেন। তিনি আরও বলেন, বুধবার সন্ধ্যা থেকে মামা আত্মহত্যার জন্য চেষ্টা করছিলেন। গভীর রাতে একবার ঝুলন্ত রশি বাঁধা দেখে আমার নানি তা খুলে নিজের হেফাজতে রেখে সারারাত তাকে সবাই মিলে পাহারা দেন। কিন্তু শুক্রবার ভোরে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে মামা ফোনে কার সঙ্গে যেন কথা বলেন এবং পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। নিহতের বাবা নুরুল হক জানান, জাহিদ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত হয়ে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিলেন। তাকে অনেক চেষ্টা করেও নেশার জগত থেকে ফেরাতে পারেননি। জাকির হোসেন (৬) জুনায়েদ হোসেন (২) নামে তার দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
চাটখিল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।