চুয়াডাঙ্গা সদরে নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়ন এই খাড়াগোদা ও গড়াইটুপির মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে চিত্রা নদী।এ নদীটি প্রায় মৃত।কিন্তু এই নদী থেকে তোলা হচ্ছে বালি। এই বালু উত্তোলন করছে গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেতৃত্বে গড়াই টুপি ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোঃ রাশেদুজ্জামান পলাশ ও চুয়াডাঙ্গার উজ্জ্বল বাঙালি। গড়াই টুপি শ্মশান পাড়া থেকে গোষ্ঠ বিহারের প্রায় ১.৫ কিলোমিটার পিস রাস্তা হচ্ছে। এই রাস্তার কন্টাকটার মোহাম্মদ মিলন হোসেন। নবগঠিত গড়াই টুপি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাথে একতরফা চুক্তির মাধ্যমে ওই রাস্তায় যত বালি লাগবে তার চেয়ারম্যান নদী থেকে উত্তোলন করে দিচ্ছে। এতে চেয়ারম্যান মোটা অংকের টাকা পেয়েছে।
টাকার কথাটি কন্টাকটার অস্বীকার করলেও লোক মারফত জানতে পারলাম চেয়ারম্যানও মোটা অংকের নজর সালামি পেয়েছেন । এই বলে উত্তোলন করে নদী ভাঙ্গনের পাশাপাশি নদীর ডাঙ্গায় যাদের মালিকানা জমি আছে তাদের জমি ধসে যাচ্ছে। তাছাড়া নদীতে পানি না থাকাই গরু ছাগল চরে গরু ছাগল বালু তোলা গর্তে পড়ে আর উঠতে না পেরে গরু ছাগলের মৃত্যু হচ্ছে। এছাড়া বালি উত্তোলন তিতুদহ ইউনিয়নে মোঃ শুভ।তিনি দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে একটানা বালি উঠাচ্ছেন।তিনি কোন কিছুকে তয়াককা করেন না। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক এসিল্যান্ড কয়েকবার তার বালি উত্তোলনের মেশিন তুলে দেয় তার কয়েকদিন পর থেকে আবারও বালু উত্তোলন শুরু করেন। তাছাড়া গড়াই টুপি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ খোকন। দীর্ঘ দিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে। এই বালু বিক্রয় টাকা পার্সেন্টে পাচ্ছেন গড়াইটুপি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান।
জমির মালিক কোন চেয়ারম্যান কে অভিহিত করলে চেয়ারম্যান কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এদিকে গড়াইটুপি শ্মশান পাড়া হতে গোষ্ঠ বিহারের ভেতর দিয়ে যে পিচ রাস্তাটি হচ্ছে ওই রাস্তার মাটি কন্টাকটার মোঃ মিলনের সহযোগিতায় মাটি বিক্রি করছে মোঃ রাশেদুজ্জামান পলাশ যিনি গড়াই টুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। স্থানীয় লোকজন এই মাটির বিক্রি বাঁধা দেয়। তিনি বাঁধাকে তোয়াক্কা না করে আরো বেশি পরিমাণে মাটি বিক্রি করেন। এতে তাকে সাহায্য সহযোগিতা করেন কন্টাকটার মোহাম্মদ মিলন হোসেন ও গড়াই টুপি ইউপি চেয়ারম্যান ।
ওই পিস রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে ৩নম্বর ইটের খোয়া।এছাড়াও খোয়া হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ৫০ বছর আগের পুরাতন ইট।এসব ইট সরবরাহ করছে। গড়াই টুপি ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি মোঃ রাশেদুজ্জামান পলাশ। তাছাড়া গড়াইটুপি ইউনিয়নের কলাগাছি গ্রামে খনন করা হচ্ছে খাল। এই খাল খুন করছেন মোহাম্মদ আরিফ হোসেন। আরিফ হোসেনের সাথে আছেন ঝিনাইদহ সদর সাধুহাটি ইউনিয়নের ধোপাবিলা গ্রামের মিলন মেম্বার। উনারা রাতের অন্ধকারে খালের মাটি বিক্রি করছে। এখানেও খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম গড়াইটুপি ইউপি চেয়ারম্যান জড়িত।কলা গাছি গ্রামের লোকজন বলতেছে যে এখানে কোন খানের প্রয়োজন নাই। তাহারা নিজেদের স্বার্থের প্রয়োজনে এই খালখনন করছেন ।মোটামুটি চিত্রগুলো তুলে ধরলাম। এগুলো ছাড়াও অনেক অপকর্ম আছে।সেগুলো আস্তে আস্তে জানতে পারবেন।
যারা এসব ঘৃণিত কাজের সাথে জড়িত। তারা রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব করছে। যারা এসব কাজের সাথে জড়িত তারা প্রত্যেকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কোন না কোন পদে বহাল আছেন। এ সব ঘৃণিত কাজ অবিলম্বে বন্ধ না করলে , এলাকার অবস্থা আরো অধঃপতনে যাবে। তাই এলাকার লোক প্রশাসন সহ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছে। অবিলম্বে এইসব কাজে যারা জড়িত। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে। শাস্তি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।