নেত্রকোনা-৫ পূর্বধলা আসনে কে হবেন নৌকার সক্রিয় মাঝি

মোহাম্মদ সাগর আহমেদ প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর , ২০২৩ ০৭:৪৫ আপডেট: ২৯ নভেম্বর , ২০২৩ ০৭:৪৫ এএম
নেত্রকোনা-৫ পূর্বধলা আসনে কে হবেন নৌকার সক্রিয়  মাঝি
পূর্বধলা ৫ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নেত্রকোনা-৫ পূর্বধলা আসনে আ.লীগের প্রায় ডজনখানিক মনোনয়ন প্রত্যাশীরা লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন। তফসীল ঘোষণার পর সংসদ নির্বাচনে জনমতে কে আছে এগিয়ে, কে পাবে নৌকার মনোনয়ন, এ নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে নানা কৌতূহল, উঠেছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

পূর্বধলা  ৫ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নেত্রকোনা-৫ পূর্বধলা আসনে আ.লীগের প্রায় ডজনখানিক মনোনয়ন প্রত্যাশীরা লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন। তফসীল ঘোষণার পর সংসদ নির্বাচনে জনমতে কে আছে এগিয়ে, কে পাবে নৌকার মনোনয়ন, এ নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে নানা কৌতূহল, উঠেছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

আর নির্বাচনের হাওয়া ও গুঞ্জনের তালে তালে আ.লীগের প্রার্থীদের দৌড়-ঝাঁপও শুরু হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে নিয়ে এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা যখন তুঙ্গে, ঠিক এই মূহর্তে এলাকার হাট-বাজারসহ সর্বত্র পোস্টার সাটানো দেখে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানান বিশ্লেষণ। বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্যান্য দলগুলো এখনো জাতীয় রাজনীতি নিয়েই ভাবনায় আছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তেমন তোড়জোড় নেই। তবে তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। তবে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে জাপা’র উপজেলার সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদ মনোনয়ন প্রত্যাশী।

দলীয় মনোনয়নে এ আসনে ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীরপ্রতীক) টানা তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। বিগত দিনের উন্নয়ন কর্মকান্ড বিবেচনায় এবারও দলীয় মনোনয়ন এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তার নেতাকর্মীরা, তবে তিনি মাঠে সক্রিয় নেই। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক মাঠ ও সামাজিক কর্মকান্ডে তাঁকে দেখা যাচ্ছে না।

তার ঘনিষ্ঠজনরা বলেছেন, তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে দেশ এবং দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে নেতৃত্ব পরিবর্তনের জন্য দলের একটি বড় অংশ প্রকাশ্যেই মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। নেত্রকোনা-৫ আসনের নৌকার মাঝি হতে তৎপর একাধিক নেতা। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এবং বাজিমাতের কৌশল আর মনোবল নিয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে শতভাগ মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী বাংলাদেশ আ.লীগের টানা পাঁচবারের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন। কেন্দ্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্থানীয় নেতাকর্মীদেরকে আশ্বস্ত করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। উপজেলায় নিয়মিত জনসংযোগ করে যাচ্ছেন তিনি।

দলকে শক্তিশালী ও সুংগঠিত করতে তৃণমূলে কাজ করে যাচ্ছেন। দলের হাইকমান্ডের বিবেচনায় আছেন। আলোচনায় রয়েছেন সাবেক ছাত্র নেতা আমানুর রশীদ খান জুয়েল। প্রবাসে থেকেও দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনিও প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন। নতুন হিসেবে এমপি বেলাল’র ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আনোয়ার হোসেনও দলীয় মনোনয়ন পেতে জনসংযোগ করছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের ধারণা এমপি বেলালের পরিবর্তে তিনিই নৌকার মাঝি হবেন।

এছাড়া বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবি)’র কৃষি প্রকৌশল বিভাগে চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাবেক জিএস ইঞ্জি. মো. মিছবাহুজ্জামান চন্দন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন, জেলা আ.লীগের সদস্য ইঞ্জি. তুহিন আহমেদ খান, ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষকলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সোহেলও নৌকার মাঝি হতে চান। তারাও দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়াচ্ছেন। তবে মনোনয়ন প্রত্যাশী এই আসনের একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী আ.লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ড. নাদিয়া বিনতে আমীন (সিআইপি) নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। একটি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় গ্রীন সিগন্যাল পেয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন।

একটি মাত্র উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে স্থানীয় আ.লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ঐক্য নেই। প্রত্যেকেই গ্রæপিংয়ে বিভক্ত হয়ে পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচী পালন করে। বিভিন্ন সময়ে হামলা-মামলার ঘটনাও ঘটেছে। আন্তঃকোন্দলের কারণে ২০০৩ সালের পর উপজেলা আ.লীগের কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo