দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহসিন স্কুলের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১০:৪৮ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১০:৪৮ এএম
দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহসিন স্কুলের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান
যশোর মুড়লীর দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহসিন স্কুলের ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষে দুইদিন ব্যাপি আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজনের মধ্যে ছিল সুবর্ণ জয়ন্তী , পূর্ণমিলনী,স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।

যশোর মুড়লীর দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহসিন স্কুলের ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষে দুইদিন ব্যাপি আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজনের মধ্যে ছিল সুবর্ণ জয়ন্তী , পূর্ণমিলনী,স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।

দুইদিনের আয়োজনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকালে এ অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। অনুষ্ঠান শুরুতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে র‌্যালি বের করা হয়।প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে র‌্যালির উদ্বোধন করেন যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার। তিনি বলেন এ স্কুলে এমন একটি আয়োজন করেছে, যা প্রশংসনীয়। এ আয়োজনের ফলে সকল শিক্ষার্থী অনকে দিন পর এক সাথে মিলিত হতে পেরেছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি সুসম্পর্ক সৃষ্টি করবে।

এ সময় উপ¯ি’ত ছিলেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষ্ া অফিসার রবিউল ইসলাম ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপাল কলেজের অধ্যক্ষ জে ইকবাল হোসেন,  হামিদপুর আল হেরা কলেজের মফিজুল ইসলাম, যশোর কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাফ হোসেন শিমবা, স্কুলের সভাপতি ও অনুষ্ঠানের আহবায়ক সালাউদ্দিন টিপু, প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান সহ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ। র‌্যালিতে শিক্ষার্থী ভুভুেজলা বাঁশি বাজিয়ে, আনন্দ উল্ল্যাস করে। র‌্যালিটি স্কুল থেকে বের হয়ে র‌্যাব অফিসের সামনে ঘুরে স্কুলে এসে শেষ হয়। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে অনেক দিন পর প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এক সাথে মিলিত হতে পেরে তাদের মধ্যে ছিল এক অন্যরকম আনন্দ উল্ল্যাস । এ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে এসএসসি পাস করে উ”চ শিক্ষা গ্রহণ করে বতর্মানে সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগি অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন মোফাজ্জেল হোসেন। তিনি তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমার স্কুলের এ অনুষ্ঠানে আসতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। কারন আমি আজ সহযোগি অধ্যাপক হয়েছি। সেটা দানবীর হাজী মোহাম্মদ মহাসীন স্কুলের অবদান। এ স্কুলে লেখাপড়া করার সময় শিক্ষকদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। যে কারনে আজকের অব¯’ানে আসতে পেরেছি। ১৯৯৫ সালে এসএসসি পাস করা আরেক শিক্ষার্থী জিএম মামুন জানান ২৮ বছর পর স্কুল মাঠে সবার সাথে মিলিত হতে পেরে আমি খুব খুশি হয়েছি। স্কুল থেকে পাশ করার পর অনেকেই পেশাগত কারনে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন। কিš‘ স্কুলের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সবাই এক সাথে মিলিত হতে পেরে অন্যরকম আনন্দ লাগছে। একই কথা জানান রফিকুল ইসলাম , মারুফ হোসেন নামে কয়েকজন শিক্ষার্থী। বিকেলে শিক্ষার্থী ফটোসেশন ও স্মৃতিচারণ করেন। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।শুক্রবার বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিসপ্লে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা , সাংস্কৃতকি ও আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দুই দিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তী ঘটে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo