ফরিদপুরে এ.কে. আজাদের বাসভবনে হামলার ও মিছিলের ঘটনায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা সহ ১৬ জন বিএনপির নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এজাহার করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে হামীম গ্রুপের ল্যান্ড কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাফিজুল খান (৪০) বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় এ এজাহারটি জমা দেন।
এজাহারে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই ) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি হামীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে. আজাদের শহরের ঝিলটুলীস্থ অফিস কাম বাসভবন কর্মরত ছিলেন।
সে সময় তার সাথে প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. সোলাইমান হোসেন, সিকিউরিটি গার্ড মো. মেহেদী হাসান, কেয়ারটেকার মো. জালাল শেখ, পরিচ্ছন্ন কর্মী আব্দুল হান্নান, গৃহপরিচারিকা মাজেদা বেগম, সিসিটিভি অপারেটর সেলিম হোসেন ও সহকারি শাওন শেখ উপস্থিত ছিলেন।
এজাহারে বলা হয়, ওই সময়ে একদল উগ্র সন্ত্রাসী হঠাৎ বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড মো. মেহেদী হাসানকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে এ কে আজাদ এর বাসায় প্রবেশ করে ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা বাড়ির ভিতর ঢুকে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালী করতে থাকেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, তিনি (রাফিজুল) আসামীদের গালাগালী শুনে কক্ষ হতে বের হয়ে উঠানে আসার সাথে সাথে গোলাম মোস্তফা হুমকি দিয়ে বলেন, তোর স্যার এ.কে. আজাদ যেন ফরিদপুর না আসে। গোলাম মোস্তফাসহ অন্য আসামীরা আরো হুমকি প্রদান করে বলে আজাদ সাহেবের জনসেবা করার স্বাদ মিটিয়ে দেব।
এজাহারে আরও বলা হয়, পরে আসামীরা ‘‘এ.কে. আজাদের চামড়া তুলে নিব আমরা" সহ বিভিন্ন প্রকার অরাজক উক্তির শ্লোগান দিতে দিতে জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
এজাহারে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এজাহারে অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহরিয়ার হোসেন, কোতয়ালী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী , মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান , মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম , মহানগর ছাত্রদল সহ সভাপতি ক্যাপ্টেন সোহাগ প্রমুখ।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা জানান, ওই বাড়িতে আওয়ামী লীগের গোপন সভা হচ্ছে এ তথ্য পেয়ে আমরা গিয়েছিলাম। ওখানে আমি নিজে কিংবা আমার সাথে যারা ছিলেন তারা কেউ কোন হুমকি ধামকি দেয়নি। একটি ঢিলও ছোড়া হয়নি।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. এম এ জলিল জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।