দাগনভূঞা বাজার জুড়ে অবৈধ স্ট্যান্ড

দেওয়ান মোঃ ইকবাল প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর , ২০২৩ ১১:১৭ আপডেট: ১৩ নভেম্বর , ২০২৩ ১১:১৭ এএম
দাগনভূঞা বাজার জুড়ে অবৈধ স্ট্যান্ড
দাগনভূঞা বাজার জুড়ে অবৈধ স্ট্যান্ড আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় দাগনভূঞা জিরো পয়েন্টের অবস্থা শোচনীয় বিরাজমান। দুই পাশের ফুটপাতের অবস্থা আরো খারাপ। পথচারী চলাচল করতে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনা। এর উপর জিরো পয়েন্টে মরার উপর খাঁড়ার গাঁ হিসেবে বিরাজ করছে অবৈধ স্যান্ড।

দাগনভূঞা বাজার জুড়ে অবৈধ স্ট্যান্ড আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় দাগনভূঞা জিরো পয়েন্টের অবস্থা শোচনীয় বিরাজমান। দুই পাশের ফুটপাতের অবস্থা আরো খারাপ। পথচারী চলাচল করতে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনা। এর উপর জিরো পয়েন্টে মরার উপর খাঁড়ার গাঁ হিসেবে বিরাজ করছে অবৈধ স্যান্ড।

দাগনভূঞা  পৌর শহরে প্রবেশের জিরো পয়েন্ট সড়ক দখল করে রাখছে সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত রিকশা। এ ছাড়া সড়কের ফুটপাথ দখল করে অবৈধভাবে টঙ দোকান বসানোর কারণে গুরুত্বপূর্ণ জিরো পয়েন্ট সড়কে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। দাগনভূঞা কেন্দ্রিক মহাসড়কটি ফোর লেন হওয়ার পরও সিএনজি অটোরিক্সা ও ফুটপাত দখলের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীরা।

উপজেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসকের অফিস এবং বাসভবনের আধা কিলোর  মধ্যে অবৈধ দখলদারদের দাপটে পৌর শহরের জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে দীর্ঘ দিন সড়ক সঙ্কুচিত হয়ে আসায় জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জিরো পয়েন্টের আতাতুর্ক স্কুলের গেইট থেকে  চৌমুহনী রোড়ে ডাক বাংলা  পর্যন্ত সড়কের উভয়  অবৈধ টঙ দোকান বসে চাসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে। আর সিএনজি অটো, রিকশা, ব্যাটারি চালিত রিকশা একই পাশে সড়কের অধিকাংশ জায়গা দখল করে রাখছে। যাত্রী ওঠা-নামার কারণে সড়ক সঙ্কুচিত হয়ে স্বভাবিক গাড়ি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় এক শ্রেণীর রাজনৈতিক সুবিধাভোগী সড়ক ও ফুটপাথ দখলে সহযোগিতা করে অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। ফুটপাতের প্রতিটি দোকান থেকে ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দৈনিক হারে তোলা হয়। এটির একটি অংশ চলে যায় বিটের টাকা নামে প্রশাসনের কাছে।  বিভিন্ন সময় পৌরসভা  ও  উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে আবার দখল কায়েম হচ্ছে। মূলত রাজনৈতিক পরিচয় বহন করে এক শ্রেণীর সুবিধাভোগী যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন তার হয়ে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে থাকে।

সড়ক সঙ্কুচিত হয়ে পড়ায় প্রতিদিন স্কুল-কলেজের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী, যানবাহনের যাত্রী, অফিসগামী ও সাধারণ পথচারীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। তার ওপর যখন তখন শত শত ব্যাটারি চালিত রিকশা সড়কের মধ্যখানে দাঁড়িয়ে থাকে। কারো যেনো কোনো মাথাব্যথা নেই। দাগনভূঞা জিরো পয়েন্টের ফাজিলেরঘাট রোড়ের মুখে এমন ভাবে ব্যাটারী চালিত রিক্সা দাড়িয়ে থাকে সাধারন জনগন চলাচলে পর্যন্ত কষ্ট হয়। এ অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে পৌর শহরের জিরো পয়েন্টকে স্বাভাবিক যান চলাচল ও পথচারীদের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছে দাগনভূঞার  সর্বস্তরের জনগণ।

নাম না বলার শর্তে এক ব্যাবসায়ী বলেন, দাগনভূঞা যে পরিমাণে সিএনজি আছে তার অর্ধেকের বেশি সিএনজির সরকারি রেজিষ্ট্রেশন নেই৷ তারা থানা থেকে মাসিক টোকেনের বিনিময়ে চালায়। আর এজন্য সিএনজি মালিক গণকে মাসে টোকেন প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত প্রশাসনকে দিতে হয়। আর অবৈধ স্টান থেকে বিটের টাকা হিসেবে যায় প্রশাসনের কাছে। এই ভাবে মাসে লাখ লাখ টাকা প্রশাসনের কাছে যায়। এই জন্যই তারা অবৈধ স্যান্ডের ব্যাপারে তা নিশ্চুপ থাকে।

এ বিষয়ে দাগনভূঞা  বাজারের ব্যবসায়ী সাহেদুল ইসলাম জানান, দাগনভূঞা  পৌর শহরের জিরো পয়েন্টে জনদুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে। অবৈধ দখলদার ও সড়কের ওপরের যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখার কারণে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। দেখার কেউ নেই। দাগনভূঞা  বাজার ব্যাবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কায়েস রিপন  জানান, উপজেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসন এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিতে পারলে পৌর শহরের জিরো পয়েন্টে জনদুর্ভোগ লাঘব হবে।

পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক বলেন, যানযট নিরশনে পৌরসভার লোক প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু দাগনভূঞাতে  সিএনজি ও অটোরিক্সার পরিমান বেশি। যে পরিমাণে সিএনজি দাগনভূঞাতে আছে সেগুলোর বেশিরভাগেরই রেজিষ্ট্রেশন নেই। তারা কিভাবে সড়কে চলে তা একমাত্র প্রশাসনই জানে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার  ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিবেদিতা চাকমার  কাছে জনদুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা অভিযান করে আসার পর আবার ফুটপাত দখল হয়ে যায়। আমরা সকলের সহযোগীতা কামনা করছি। জনদুর্ভোগ লাঘবে উপজেলায় অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo