ঝিনাইদহে অবৈধ ভাবে ভূমি আত্মসাতের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মোঃ রিয়াজুল করিম প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর , ২০২৩ ০৭:৩৬ আপডেট: ১১ অক্টোবর , ২০২৩ ০৭:৩৬ এএম
ঝিনাইদহে অবৈধ ভাবে ভূমি আত্মসাতের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা স্টার-২ ব্রিকস ইট ভাটার জমি অবৈধ ভাবে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের এর শাখা ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান, জোহান ড্রীমভ্যালী পার্কের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেনের স্ত্রী জহুরা খাতুন এবং লুৎফুন নাহার গং এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী জমির মালিক তাজুল ইসলাম, এসময় তার সন্তান জোবায়ের রহমান রকি ও ইমরান উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে তাজুল ইসলাম বলেন ইট ভাটার ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালে ঝিনাইদহের চাকলা পাড়ার মঞ্জুর হোসেন স্বপন ও আমি স্টার-২ ব্রিকস নামে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার  সাগান্না ইউনিয়নের বৈডাঙ্গা বাজারের নিকটস্থ একটি ইটভাটা স্থাপন করি। মুলধন সংকটের কারণে নিজ নামীয় জমি মর্টগেজ রেজিষ্ট্রি করিয়া ৫০লক্ষ টাকা সিসি লোন করিতে স্বপনকে সহযোগীতা করি। এছাড়াও এককালীন কিস্তিতে ১৫লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহন করি। এভাবে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভালভাবে চলার পর স্বপন মৃত্যু বরণ করে।

এমতাবস্থায় ইট ভাটায় আবারও মূলধন সংকট দেখা দেয়। ব্যবসায়ের পুজি সৃষ্টি করার কারণে ঝিনাইদহের সাহাদাতিয়া সড়কের আবুল কাসেমের নিকট ইট ভাটার মালিকানা হস্তান্তরিত হয়। কিন্তু আবুল কাসেম পর্যাপ্ত পুজি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় এবং ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করায় হস্তান্তর চুক্তি লংঘিত হলে তিনি ইটভাটা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এ অবস্থায় ঋণের পরিমান বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ইটভাটার জমি গোপনে নিলাম বন্দোবস্ত হয়। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে কোর্টের মাধ্যমে নিলাম বন্দোবস্তটি বাতিল করা হয়।

ভুক্তভোগী তাজুল ইসলাম ইউসিবিএল এর প্রধান কার্যালয়ে ৪৭ লক্ষ টাকা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেন। পরবর্তিতে নিলাম স্থগিত থাকা কালিন সময়ে ইউসিবিএল এর ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ মনিরুজ্জামান মঞ্জুরের স্ত্রী লুৎফুন নাহার এবং জোহান ড্রীমভ্যালির মালিক মোয়াজ্জেম হোসেনের স্ত্রী জহুরা খাতুন গং যোগসাযোসে অনেক টাকা লেনদেনের বিনিময়ে ব্যাংক  কর্মকর্তার মাধ্যমে ন্যুনতম ৩৫ কোটি টাকার জমি মাত্র ২ কোটি ১৮ লক্ষ ৫০হাজার টাকার বিনিময়ে মোয়াজ্জেম হোসেনের স্ত্রীর নামে জমিটি ক্রয় করে।

মোট জমির পরিমান ছিল ৪ একর ৬৬.৩৯ শতক। ভুক্তভোগী তাজুল ইসলাম তৃতীয় পক্ষ হওয়া স্বত্বেও ব্যাংক থেকে নিলাম বিক্রয়ের সময় না জানানোর অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে নিলাম বাতিল পূর্বক যথাযথ নিয়মে জমির মালিকানা ফিরে পাবার দাবি জানান।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo