স্কুল ছাত্রী ধর্ষন মামলায় তিন বখাটের যাবজ্জীবন

মোঃ রিয়াজুল করিম প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর , ২০২৩ ১২:১৪ আপডেট: ৯ নভেম্বর , ২০২৩ ১২:১৪ পিএম
স্কুল ছাত্রী ধর্ষন মামলায় তিন বখাটের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে সপ্তম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষন করার দায়ে ৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। বুধবার (৮ নভেম্বর) ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষনা করেন।

ঝিনাইদহে সপ্তম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষন করার দায়ে ৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। বুধবার (৮ নভেম্বর) ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষনা করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত হলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বড়কামারকুন্ড গ্রামের কওসার আলীর ছেলে মফিজুর রহমান, দরিগোন্দিপুর গ্রামের ছব্দুল হোসেনের ছেলে রিংকু ও একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মিঠু। এদের মধ্যে রিংকু পলাতক রয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোঃ বজলুর রহমান তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার রায় সুত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বড়কামারকুন্ডু গ্রামে খালার বাড়িতে থেকে শিকারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো। স্কুলে যাওয়া আসার পথে এলাকার বখাটে মফিজুর রহমান, রিংকু ও মিঠু প্রায়ই তাকে কু- প্রস্তাব দিত।

এতে রাজি না হওয়ায় তাকে হুমকি দিত দন্ডিরা। ২০১১ সালের ১৮ মার্চ দিবাগত রাত একটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয় ওই শিক্ষার্থী। বাথরুম থেকে আবার রুমে প্রবেশের সময় আসামীরা ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। ঘটনার দুই দিন পর ধর্ষনের ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে ২১ মার্চ ঝিনাইদহ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা হয়।

মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ৮ আগস্ট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১৩ বছর পর মামলার শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত বুধবার ৩ ধর্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত রিংকু ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo