গোপালগঞ্জ জেলা জলিলপাড় ইউনিয়নের জি,আই স্বীকৃত
ব্রোঞ্জ মার্কেটটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় গড়ে উঠেছে। এখানে ৫০ টি দোকান ব্রোঞ্জ মার্কেটের জন্য
বরাদ্দ থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ব্রঞ্জের দোকান আছে মাত্র ৮ থেকে ১০ টি। অবশিষ্ট দোকানগুলি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে নানা প্রকারের খেলনা, ঔষধ, কসমেটিক্স ও মুদি মালের জন্য ।
১০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পের ধ্বংসের পেছনে কাজ করছে ওই মার্কেটের সভাপতি চিনময় বাগচী
ও সাধারণ সম্পাদক সুমন বৈদ্য বিপুল সম্ভাবনাময় এই শিল্পের সম্ভাবনা জাগিয়ে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা থাকলেও কমিটি ও স্থায়ী কতপয় অসাধু চক্রের খপ্পরে পড়ে এই শিল্প আজ ধ্বংসের মুখে। কোন এক সময় এই শিল্পের উপর নির্ভর করে শতশত পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো। এখন হাতে গোনা কয়েকটি দোকান আছে তাও আবার ব্যবসা মন্দা অবস্থার কারণে যারা এই ব্যবসার সাথে জড়িত তারা পরিবার নিয়ে চলতে পারছে না। কিন্তু এই ব্রোঞ্জ এর ব্যাপক চাহিদা আছে ভারত, নেপাল, চীন, ও আফ্রিকার দেশগুলিতে। এই পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে আমরা প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে সক্ষম হতাম যদি কতিপয় দুষ্কৃতি চক্রের হাত থেকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেয়া না হতো। সরকারি খাস জমির উপর কোন প্রকার পাকা স্থাপনা করার বিধান না থাকলেও ব্রঞ্চ মার্কেটে গড়ে করে তোলা হয়েছে দোতলা পাকা স্থাপনা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধারা ১৩ এ বলা আছে, কোন বিধি নিষেধ বা পত্রের কোন শর্ত লঙ্ঘন করিয়া কোন ব্যক্তি বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সম্পদের উপর এমন কোন স্থাপনা নির্মাণ বা ভরাট কার্যক্রম গ্রহণ করেন যাহা জলস্রোতের স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি বা উয়ার গতিপথ পরিবর্তন করে তাহা হইলে আপাতত বলবৎ অন্যকোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন নির্বাহী কমিটি বা তৎ কর্তৃপক্ষ ক্ষমতা প্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা উক্ত স্রোতের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিতকল্পে আদেশে উল্লেখিত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত স্থাপনা অপসারণ বা ভরাট কার্যক্রমে ব্যবহৃত উপকরণ বা উপাদান অপসারণ করিবার জন্য উক্ত ব্যক্তি বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের উপর অপসারণ আদেশ ইস্যু করিতে পারিবে। বিপুল সম্ভাবনাময় এই শিল্পের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো ভালো না থাকার কারণে বর্ষার সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা ক্রেতা বিভিন্ন ধরনের নাজেহাল এর সম্মুখীন হন। ঝালকাঠি থেকে আসা এক ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেল নানা দুর্ভোগের কথা মার্কেটের ভিতরে ভালো কোন শৌচাগার নেই যাওবা আছে তা অত্যান্ত অস্বাস্থ্যকর, অল্প বৃষ্টিতে এই মার্কেটের ভিতরে রাস্তা পানী ও কাদায় ভরে যায়। মার্কেটের সভাপতির রনজিৎ বালার মুখোমুখি হলে তিনি মার্কেট সম্পর্কে ভালো কোন তথ্য দিতে পারেননি উপরন্ত সাধারণ সম্পাদকের কথা বারবার করে বলে বিভিন্ন বিষয় এড়িয়ে গিয়েছেন।