জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে গত ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আটবার, বিএনপি দুই বার, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ এক বার এবং জাতীয় পার্টি একবার নির্বাচিত হন। এবার নিজেদের হারানো আসন পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি। অপরদিকে, নতুন করে স্বপ্ন বুনছে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ, আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
আগামী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সহ সম্পাদক, মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সহ সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি গোলাম রব্বানী, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি দৌলতুজ্জামান আনছারী, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেনের ছেলে কর্ণেল রফিকুল হান্নান ও জেলা বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন। ২০০১ সালে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মির্জা আজমের কালো টাকার কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। আসনটিতে ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেন।এই আসনটি নিয়ে এখন চলছে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা। এখন পর্যন্ত আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সহ সম্পাদক, মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। তিনি কারাবরন, শত নির্যাতন, অত্যাচার, ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে দুর্দিনে তৃণমূল বিএনপির পাশে ছিলেন।মেলান্দহ-মাদারগঞ্জের ৩টি পৌরসভাসহ দুটি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে বিগত ১৭ বছর ধরে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল দুই বার ধানের শীষের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও তৃণমূল বিএনপির দুর্দিনে পাশে থাকায় তিনি তৃণমূল বিএনপি ও সাধারন ভোটারের কাছে জনপ্রিয় নেতা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রাজপথে থেকে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে।অপরদিকে, এ আসনে প্রচার চালাচ্ছেন জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত একক প্রার্থী জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাওলানা মো: মুজিবুর রহমান আজাদী। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব লুৎফর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী দলটির মাদারগঞ্জ উপজেলার যুগ্ম আহবায়ক রুবেল মিয়া, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম তুহিন, আল আমিন ও জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি লিটন মিয়া মাঠে সরব রয়েছেন। জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মুফতি শামসুদ্দিন, মেলান্দহ উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মাওলানা বোরহান উদ্দিন, মেলান্দহ খেলাফত মসলিসের সভাপতি মুফতি রফিকুল ইসলাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে আলোচনায় রয়েছেন।