সরেজমিনে ও বিশ্বস্থ সূত্রে জানায়ঃ দীর্ঘদিন ধরে আনোয়ার হোসেন গংদের সাথে একই এলাকার মোঃ ইসমাইল গংদের সাথে বনবিভাগের ভোগ দখলীয় জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিভিন্ন সময় ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে সালিশ বিচার হয়েছিল।
এর মধ্যে বর্ণিত এলাকা ২০০৫-০৬ সাল হতে বনবিভাগের জায়গা সামাজিক বনায়নের আওতায় চলে আসে। সেখানে ইসমাইল এর নামে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীর তালিকায় আছে। পরে আবার কিছু জায়গা ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের সামাজিক বনায়নের আওতায় আসে। মোঃ ইসমাইলের ছেলে সাইফুল ইসলাম এর নামে সামাজিক বনায়নে প্লটে নাম আসে। কিছু জায়গা আগে থেকে আবাদ করা নিছু বাগান ও ধানী জায়গা নিজ দখলে রয়েছেন।
এদিকে আনোয়ার হোসেন এর মেয়ে রোকসানা বেগম, স্বামী সৈয়দুল আমিন বসতবাড়ি নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে বসবাস করে আসতেছে। এতে তামাক চুল্লিও রয়েছে। এর পাশে ইসমাইল এর ছেলে সাইফুল ইসলাম এর সামাজিক বনায়ন ও কিছু আবাদীয় জমি রয়েছে। সেখানে সর্বশেষ গত ২ আগষ্ট শুক্রবার শ্রমিক নিয়ে চাষ করতে গেলে আনোয়ার ও তার মেয়ে বাধা দিলে বাকবিতন্ডায় ও ধস্তাধস্তিতে রোকসানা হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে আনোয়ার গং লোকজন এসে কাজ করতে আসা শ্রমিক ও মোঃ ইসমাইল ও তার ছেলে সাইফুল ইসলামকে ধাওয়া করে।
এতে তারা প্রাণনাশের ভয়ে পালিয়ে যায়। তখন তার জমি ও বাগানে কোন কাজ করতে পারছে না। এর আগেও কয়েকবার ঘটনা করেছিল তারা। তারা সামাজিক কোন সালিশ বিচার মানে না।এরপর থেকে উক্ত জায়গা দখলে নিতে তারা বিভিন্নভাবে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এতে সর্বশেষ তারা মোঃ ইসমাইল,তার ছেলে সাইফুল ইসলাম এর নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৫/৬ জন নামে মামলা করেন। এদিকে মোঃ ইসলাম ও তার ছেলে জানান, তাদের আমরা তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হচ্ছি। আমাদের কিছু জমি থাকায় বিভিন্ন সময়ে সেই জমি দখলের পাঁয়তারা করেন তারা।
আমাদের সৃজিত বাগানে গাছ পালা তারা কেটে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিলে বা আইনের আশ্রয় নিলে জখম করার হুমকি দেন। জমি দেখতে গেলে কয়েক দফায় আক্রমণের চেষ্টাও করেছেন তারা। এ বিষয়ে আমরা ২০১১ সালে থানায় সাধারণ ডায়রি করা আছে। জিডি নং -৩৯৯। তিনি আরও জানান তারা স্থানীয় ভোটারও নয়। রোহিঙ্গা।অন্যদিকে আনোয়ার তার মেয়ে রোকসানা জানান, তারা আমাদের বাড়ি জায়গা লাগোয়া পাহাড় কাটতে বাধা দিলে ঐ দিন আমার মেয়েসহ মারধর করে। এর জন্য আমরা প্রতিকার ছেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য শালিশা থানাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।’কাজ করতে যাওয়া শ্রমিক এছাম উদ্দীন,আহমদ করিব,শুক্রর জানান, ঐদিন আমরা কাজে গিয়েছিলাম কিন্তু এতে বাধা দিয়ে আমাদের দা,পডা কেড়ে নিয়ে তাড়িয়ে দেয়।স্থানীয় সামাজিক বনায়ন রক্ষানাবেক্ষণ কমিটির সভাপতি মোঃ ওমর আলী বলেন, উভয়ের ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি। আমরা বসে সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান জানান, এ বিয়ে আমরা অবগত আছি, উভয় পক্ষের সাথে বৈঠক করে সমাধান চেষ্টা করব। বমু বন বিট কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র হালদার বলেন, এ বিষয়ে আমরা সরেজমিনে তদন্ত করেছি। পরবর্তীতে অফিস এর মাধ্যমে সামাধানের করণীয় ঠিক করব।