গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শাহাদাতের মায়ের সাথে এ কেমন বিচার ! মায়ের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন তার পরিবারের লোকজন। অধিকার আদায়ের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন নিহত শাহাদাতের মা শিরতাজ বেগম। এদিকে শাহাদাতের পূর্ন অধিকার নিয়ে বিভিন্ন অফিস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মমতাজ বেগম। অর্থ লোভে নিজের মেয়েকে বাঁধ দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন নিহত শাহাদাতের নানী মমতাজ বেগম। বিভিন্ন অফিসে গিয়ে করছেন মিথ্যাচার। এমন ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২নং বালিথুবা ইউনিয়নে। ঘটনার সূত্রে জানাযায়, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফরিদগঞ্জ থানার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন শাহাদাত। নিহত পরিবারের লোকজনকে অর্থিক সহযোগীত হাত বাড়িয়েদেন ভিবিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গ। এতে লোভে পড়ে যায় শাহাদাতের নানী মমতাজ বেগম। পুরো টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করেন একের পর এক মিথ্যাচার। যাতে করে শাহাদাতের মা কোন ভাবে কোন সুবিদা না পায় এই জন্য ঘুরছেন বিভিন্ন অফিসে। টাকার লোভে নিজের সন্তানকে বাধ দিতে একটু চিন্তা করেনাই মমতাজ বেগম। এদিকে ছেলেকে হারিয়ে শোকাহত শাহাদাতের মা শিরতাজ বেগম। এমন কর্মকান্ডে বিব্রত প্রশাসন। স্থানীয় লোকজন বলেন, শাহাদাত জন্মের কয়েক বছর পর তার বাবাকে হারিয়েছে। তখন থেকে ছেলে শাহাদাত কে নিয়ে এই বাড়ি ঐ বাড়িতে কাজ করে বেড়াতেন মা শিরতাজ বেগম। মাঝে মাঝে নানির বাড়িতে বেড়াতে যেত শাহাদাত। তাকে লালন পালন করেছেন তার মা শিরতাজ বেগম। নানির বাড়িতে আসা যাওয়া করাকে যদি মনে করেন তার বাড়িতে বড় হয়েছে তা হলে বিষয়টি ভুল। শাহাদাত বেশির ভাগ সময় তার মায়ের সাথে ছিল। শাহাদাতের নানী মমতাজ বেগম বলেন, শাহাদাত আমাদের বাড়িতে বেশি ছিল তার মায়ের কাছে না। তাকে আমার লালন পালন করে বড় করেছি। শাহাদাতের মা শিরতাজ বেগম বলেন, শাহাদাতের বাবা চলে যাওয়ার পর আমি তাকে নিয়ে মানুষের বাসায় কাজ করে বড় করেছি। তাকে বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়াশোন করিয়েছি। সর্বশেষ সে আমার সাথে ফরিদগঞ্জে একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। সেই খান থেকে সে ছাত্র আন্দোলনে মিছিলে গেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। বিভিন্ন ব্যক্তি বর্গের সহযোগী হাত বাড়ি দিলে চরিত্র পরিবর্তন করে পেলেন আমার মা মমতাজ বেগম। টাকার লোভে আমাকে পর্যন্ত বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা করে সে। আমার সন্তানের কবর পর্যন্ত দেখতে দিতে দেয়না তিনি। যারা আমার সন্তানকে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করবো যাতে সঠিক তদন্ত করে এর বিচার করা হয়।