চুয়াডাঙ্গা প্রায় ২০ হাজার একর জমিতে চাষ হচ্ছে ভুট্টা। আগের বছরের তুলনায় এই বছর ভুট্টা চাষের ফলন অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকের মনে ফিরে এসেছে আনন্দের হাসি। গত মৌসুমে ফসলের ফলন না হওয়ায় কৃষকরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সেই ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে যাবে এই ভুট্টা চাষে।
৩৩ শতাংশ এক বিঘা জমিতে ভুট্টা হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ মন।৩৩ শতাংশের এক বিঘা জমিতে কৃষকের খরচ হয় ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা।১ মন ভুট্টার ১৩০০ টাকা করে বিক্রি করছেন।১ বিঘা জমিতে কৃষকের টাকা জমছে সত্তর হাজার টাকা। কৃষকরা মনে করছেন গত মৌসুমের যে ক্ষতি হয়েছে তার অনেকটাই পুষিয়ে যাবে এই ভুট্টা চাষে। তবে ভুট্টার ফলন বেশি হলেও গতবারের তুলনায় দাম এবারটা কিছুটা কম। ভুট্টা চাষেরা মনে করছেন এবার বৃষ্টি ও ঝড় না হওয়ার কারণে ফলন বেশী হয়েছে। আবার অনেক কৃষক ভুট্টা গাছসহ বিক্রি করে দিচ্ছে।এতে টাকার পরিমান কিছুটা কম হলেও পরিশ্রম বেঁচে যাচ্ছে। চাষিরা বলছে ভুট্টা চাষে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। ভুট্টা কেটে বাড়িতে এনে গা থেকে পাটনা ছাড়িয়ে রোদে শুকাতে হয়। তারপর ভুট্টা ভাঙ্গা মেশিন দিয়ে ভুট্টা মাড়াই করতে হয়। মাড়াই করার পর তিন থেকে চারদিন রোদে শুকিযে বাজারজাত করতে হয। এত পরিশ্রমের মাঝেও কৃষকের মুখে থাকে ফসল ঘরে তোলার হাসি। তাই বলা হয় কৃষক আমাদের দেশের চালিকা শক্তির প্রধান হাতিয়ার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ উন্নত হবে সোনার বাংলাদেশ।