পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে নিম্ন আয়ের মানুষ ও পথচারীদের জন্য মাসব্যাপী উন্মুক্ত ইফতার আয়োজন করেছে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পু। প্রতিদিন ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলেই পৌর শহরের উত্তরবাজার এলাকায় সড়কের পাশে দাঁিড়য়ে ইফতারে অংশ গ্রহণের আমন্ত্রণ জানান যুবদলের নেতা-কর্মীরা। ইফতারে খাওয়ানো হয় রান্না করা খিচুরি ও খেজুর।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরীপুর পৌর শহরের উত্তর বাজার এলাকায় প্রতিদিন রান্না করা হয় রোযাদার ব্যক্তিদের জন্য। প্রতিদিন আছরের নামাজ আদায়ের পর উত্তরবাজার নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের বিপরীত পাশে সড়কের পাশে রাখা টেবিলের ওপর সাজিয়ে রাখা হয় সারি সারি ইফতারের প্যাকেট। ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলেই এখানে ইফতারের প্যাকেট নিতে ভিড় করেন নিম্ন আয়ের মানুষ ও পথচারীরা। যে যার মতো ইফতারের প্যাকেট নিয়ে যান সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
স্থানীয় চা দোকানি সুমন মিয়া বলেন, রোযা উপলক্ষে দিনের বেলা চায়ের দোকান বন্ধ থাকে। সন্ধ্যার আগে দোকান খোলার প্রস্ততি নেই। বাজারে ইফতার করলে ৫০-৬০ টাকা খরচ হয়। কিন্ত পাপ্পু ভাইয়ের এখান থেকে ইফতার পাওয়ায় আমাদের ওই টাকাটা বেঁচে যায়। শুধু আমি নই আমার মতো অনেকেই এখান থেকে ইফতার নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইফতার আয়োজন করতে প্রতিদিন দুপুর থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যুবদলের নেতা-কর্মীরা। নিজেরাই খাবার রান্না করার পাশাপাশি খাবার প্যাকেটজাত করেন। এরপর সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে রোযাদারদের জন্য ইফতার নিয়ে অপেক্ষ করতেন থাকেন তারা।
ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলেই রিকশাচালক, অসহায়, দুস্থ ও পথচারীরা এখান থেকে এসে বিনামূল্যে ইফতার নিয়ে যান। পাশাপাশি ইফতারের প্যাকেট হাতে নিয়ে ঘুরে ঘুরে অসহায় ও শ্রমজীবীদের মাঝে বিতরণ করেন যুবদলের নেতা-কর্মীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জহির আলম বলেন, রোযা রাখা যেমন সওয়াবের কাজ। তেমনি রোযাদারদেরও ইফতার করানোও সওয়াবের কাজ। এই প্রতিদিন যুবদলের নেতা-কর্মীরা ইফতারের প্যাকেট নিয়ে সড়কের পাশে দাঁিড়য়ে থেকে নি¤œ আয়ের মানুষ ও পথচারীদের ইফতার করায় এটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পু বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজাসে মাসব্যাপী উন্মুক্ত ইফতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিন তিন শতাধিক মানুষকে ইফতার করানো হয়। রমজানের প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া এই ইফতার আয়োজন চলবে রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত।