খুলনার দিঘলিয়ার গাজিরহাট ও কালিয়া উপজেলার হামিদপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত, সুটারগান ও গুলি সহ আটক দুই

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৬ মার্চ , ২০২৫ ১১:৩৬ আপডেট: ১৬ মার্চ , ২০২৫ ১১:৩৬ এএম
খুলনার দিঘলিয়ার গাজিরহাট ও কালিয়া উপজেলার হামিদপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত, সুটারগান ও গুলি সহ আটক দুই
খুলনার দিঘলিয়ার গাজিরহাট ও নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় হাসিম মোল্লা (৩৮) নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন

খুলনার দিঘলিয়ার গাজিরহাট ও নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় হাসিম মোল্লা (৩৮) নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এদিকে একটি সুটারগান ও গুলিসহ সিরাজ মোল্লা (৩৮) ও আজিজার (৫৫) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। 
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে হাসিম মোল্লা নামে ওই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতের পক্ষের গ্রুপের হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামের সিরাজ মোল্লার বাড়ি থেকে একটি সুটারগান ও গুলিসহ দু'জনকে আটক করা হয়। কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রশিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
নিহত হাসিম মোল্লা উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া অস্ত্র ও গুলিসহ আটক ব্যক্তিরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত আহমেদ মোল্লার ছেলে সিরাজ মোল্লা ও একই গ্রামের মকবুল শেখের ছেলে আজিজার শেখ। 
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের শিলিমপুর গ্রামের ঠান্ডু মোল্লা ও হামিম মোল্লার লোকজন পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক প্রতিপক্ষ জনি  মোল্লাসহ তার লোকজনের উপর হামলা করে। ইসরাইল মোল্লা ও রউফ শেখের নেতৃত্বে হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন সোহান, ইয়াসিন, রিপন, সাব্বির, ইফতাকার, ইউরুপ অস্ত্র, শটগান, বন্দুক, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, চাপাটি নিয়ে কাদের মোল্লার বাড়ি হামলা করেন। এতে মারাত্মক আহত হয় আব্দুল কাদের মোল্লা, হাসিম মোল্লার আম্মা, জনি মোল্লা, ফানি মোল্লা, আশিক।এ ঘটনায় ঠেকাতে গিয়ে দু'জন পুলিশ সদস্য সহ অন্তত ৮ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় দুপুরে জনি মোল্লার গ্রুপের হাসিম মোল্লা নামে এক ব্যক্তি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে সকালে হামলার শিকার হয়ে জনি গ্রুপের লোকজন পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নেয়ার সময় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে জনি গ্রুপের দু'জনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি সুটারগান ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রশিদুল ইসলাম জানান, এই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সহ সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার ও নিহতের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন বলেন, দু' উপজেলার বর্ডার এলাকা তাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উভয় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেহেতু কালিয়ার হামিদপুর এলাকার ঘটনা এ কারণে মামলা না হওয়া পর্যন্ত আসামি সম্পর্কে সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। 
উল্লেখ্য, স্বৈরাচারের দোসর যুবলীগ নেতা হামিম মোল্লা ও দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম ঠান্ডা মোল্লা দিঘলিয়া উপজেলার গাজিরহাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান  হয়েও আওয়ামী ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কালিয়ার হামিদপুর এলাকার নিয়ন্ত্রণ তাদের কব্জায় রেখেছিল।
৫ আগষ্টের পর তাদের নিয়ন্ত্রিত হামিদপুর ইউনিয়ন হাতছাড়া হয়ে গেলে পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব পরিকল্পনামাফিক পরোক্ষভাবে নেতৃত্ব দিয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo