যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদে এমভি জনি সাইফুল-২ জাহাজের সঙ্গে খোয়াজ ব্যাপারী-৪ নামে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে গেছে।মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে উপজেলার নওয়াপাড়া নদীবন্দরের রাজঘাট এলাকায় নোয়াপাড়া গ্রুপের নিজঘাট-৪ সংলগ্ন ভৈরব নদে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এমভি কিবলাতাইন-২ জাহাজের মাস্টার এমরান হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থলের পাশে নোয়াপাড়া গ্রুপের নিজঘাট-৪ এ আমার জাহাজ নোঙর করা ছিল। মঙ্গলবার সকাল ৬ টার দিকে খুলনাগামী এমভি জনি সাইফুল-২ জাহাজের সঙ্গে বালুবাহী খোয়াজ ব্যাপারী-৪ ভলগেটের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অল্প সময়ের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীর মাঝামাঝি স্থানে ডুবে যায়।
পরে জনি সাইফুল জাহাজটি খুলনার দিকে চলে যায়।’
ক্ষতিগ্রস্ত খোয়াজ ব্যাপারী-৪ ভলগেটের মাস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, মঙ্গলবার ভোররাতে নড়াইল জেলার বড়দিয়া থেকে ১৬ হাজার ৪০০ ফুট বিট বালু লোড করে অভয়নগরের উদ্দেশে যাত্রা করি। সকাল ৬ টার দিকে রাজঘাট এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা এমভি জনি সাইফুল-২ জাহাজের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ভলগেটের সামনে অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়।
মুহূর্তের মধ্যে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া বালুর মূল্য প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। প্রাণ বাঁচাতে বাল্কহেডে থাকা আমরা ৫ জন সাঁতরে নোয়াপাড়া গ্রুপের নিজঘাট-৪ এ আশ্রয় নেই। দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এ ব্যাপারে খুলনা বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফ উদ্দিন এপ্রতিবেদককে বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডুবে যাওয়া বাল্কহেড উদ্ধার করাসহ নৌপথে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’