ফরিদপুরে মধুমতি নদী তীর সংরক্ষণ ও কুমার নদ পুন:খনন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সারাদেশের বিভিন্ন সমাপ্ত ও নতুন অনুমোদিত প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফরিদপুরের এসব কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন সারাদেশের ৮০টি সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্প ও পুন:খননকৃত ৪৩০টি নদী, খাল ও জলাশয় এবং নতুন অনুমোদিত ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
ফরিদপুরে মধুমতি নদী তীর সংরক্ষণ ও কুমার নদ পুন:খনন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সারাদেশের বিভিন্ন সমাপ্ত ও নতুন অনুমোদিত প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফরিদপুরের এসব কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন সারাদেশের ৮০টি সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্প ও পুন:খননকৃত ৪৩০টি নদী, খাল ও জলাশয় এবং নতুন অনুমোদিত ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
এর মধ্যে ফরিদপুরে ২১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমার নদের ১২১ কিলোমিটার অংশ পুন:খনন, ৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আড়িয়াল খাঁ নদের সাড়ে ৫ কিলোমিটার তীর সংরক্ষন ও ড্রেজিং এবং চরভদ্রাসনে ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা নদীর প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশের ডান তীর সংরক্ষন ও ড্রেজিং কাজ রয়েছে। এছাড়া একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদীর বাম তীরের ভাঙ্গন রক্ষায় ৪৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৭ কিলোমিটার অংশের বাঁধ ও ড্রেজিং কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন একই অনুষ্ঠানে।
এ উপলক্ষে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে শহরের অম্বিকাপুরে কুমার নদের পল্লী কবি জসীমউদ্দিন ঘাট প্রাঙ্গণে সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।
এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, কুমার নদ খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় এখানকার কৃষিজ উৎপাদন ও জনজীবনের মানোন্নয়নে বিরাট অবদান রাখবে। এছাড়া মধুমতী নদীর তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং কাজ বাস্তবায়িত হলে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের বাসভবন ও স্মৃতিজাদুঘর সহ সেখানকার বাড়িঘর, বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে। এসময় ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রামানন্দ পাল সেখানে উপস্থিত ছিলেন।