দিনদুপুরে প্রকাশ্য বসতবাড়ি উচ্ছেদ, শমসের বাহিনীর তান্ডব হার মানিয়েছে একাত্তরকে

মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ সবুজ প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল , ২০২৪ ১১:০৯ আপডেট: ১৮ এপ্রিল , ২০২৪ ১১:০৯ এএম
দিনদুপুরে প্রকাশ্য বসতবাড়ি উচ্ছেদ, শমসের বাহিনীর তান্ডব হার মানিয়েছে একাত্তরকে
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার,ঢাকা পঞ্চগড় মহাসড়ক সংলগ্ন তেরমাইল গড়েয়ার অদুরে রাজু, সাজু ও তাদের পিতা শমসের আলীর নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে মাস্তান বাহিনী গুড়িয়ে দিল আইয়ুব আলী ও তার ওয়ারিশদের বসত বাড়ী।

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার,ঢাকা পঞ্চগড় মহাসড়ক সংলগ্ন তেরমাইল গড়েয়ার অদুরে রাজু, সাজু ও তাদের পিতা শমসের আলীর নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে মাস্তান বাহিনী গুড়িয়ে দিল আইয়ুব আলী ও তার ওয়ারিশদের বসত বাড়ী। 

প্রকাশ্য দিবালোকে এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জননন্দিত নেতা তোফাজ্জল হোসেন রাজা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল। 

ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছে তাদের প্রায় ৪/৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। 

শত শত মানুষ প্রায় ২ ঘন্টা দাড়িয়ে দাড়িয়ে শমসের বাহিনীর তান্ডব বসতবাড়ী ভাংচুর ও মহিলাদেরকে লাঞ্চিত করার দৃশ্য দেখেছে কিন্তু প্রতিহত করার সাহস পায়নি।

কাহারোল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ২ ঘন্টা পরে আসায় ক্ষতিগ্রস্তরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন পুলিশ টাকার বিনিময় ম্যানেজ হয়ে সমশের আলীর পক্ষেই কাজ করে ইতোপুর্বেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। 

থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ তো নেয় নি উল্টো শমসের আলীর পক্ষ নিয়ে আমাদেরকে লাঠি পেটা করেছে, মহিলাদের শ্লীলতাহানী ঘটিয়েছে। 

এ ব্যপারে কাহারোল থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে মুঠোফোনে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী এসআই নজরুল ইসলাম বলেন লোকবল সল্পতা ও একসাথে একাধিক ঘটনার কারনে একটু বিলম্ব হয়েছে। 

অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তারা।

অপর দিকে আইন হাতে তুলে নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে তের মাইল গড়েয়া, দশমাইল, বীরগঞ্জের প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ ভাড়াটে মাস্তান বাহিনী দ্বারা বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে গুড়িয়ে দেয়ার হোতা সমশের আলীর মুখোমুখি হলে তিনি জানান আমার দীর্ঘদিনের দখলীয় পৈতৃক জমিতে প্রতিপক্ষ আইয়ুব আলী গং জবর দখল করে বসতি গড়ে তুলেছে, তাই স্বশরীরে আমার শক্তি প্রদর্শন করলাম। 

কার কি করার আছে করুক, আমি কাউকে তোয়াক্কা করি না। টাকা যার আইন তার।

এরা প্রতিপক্ষরা তো দুরের কথা তের মাইল গড়েয়ার এমন কোন ব্যক্তির জম্ম হয়নি আমার সাথে মুকাবিলা করে। নেতা গতা আইন গাইন থানা পুলিশ সব আমার পকেটে।

তার এমন বক্তব্যের সাথে কর্মকান্ডের হুবহু মিলও রয়েছে মর্মে হাতে নাতে প্রমান পাওয়া গেছে। বসতবাড়ির ৩/৪ টি ঘর ভাংচুর করতে প্রায় দুইঘন্টা যাবত তান্ডব চলেছে, অগনিত অসংখ্য মানুষ দেখেছে কিন্তু প্রতিবাদ করেনি, পুলিশি তৎপরতা ছিল লোক দেখানো, দায়সারা গোছের।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo