কেন্দুয়ায় জবরদস্তিতে জায়গা দখল ও মারধরের অভিযোগ

কোহিনূর আলম প্রকাশিত: ২১ জুন , ২০২৫ ১৫:২৩ আপডেট: ২১ জুন , ২০২৫ ১৫:২৩ পিএম
কেন্দুয়ায় জবরদস্তিতে জায়গা দখল ও মারধরের অভিযোগ

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় পৈতৃক সম্পত্তি জোর দখল করে নিয়ে মারপিট করায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা হাছেন আলী (৬০) ও তাঁর স্ত্রী নিরাপত্তাহীনতা দিনযাপন করছেন । হাছেন আলীর কোন ছেলে সন্তান না থাকায় ও মেয়েরা বিবাহিত হওয়ায় জোর দখলে সম্পত্তির ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত   একই গ্রাম ও বংশের গোলাম বক্সের ছেলেরা -তারা মিয়া (৬২), আবুল কালাম (৫৯), শফিকুল ইসলাম মিলন (৪৭), এখলাছ উদ্দিন (৫২) আঃ সালাম (৫৫) । 
এমনকি তারা হাছেন আলীকে বসত ভিটা থেকে তারিয়ে সেখানে নতুন ঘর নির্মাণের কাজও শুরু করেছেন । স্থানীয় দরবার শালিসিতে মীমাংসার প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেন নি গোলাম বক্সের ছেলেরা । সর্বশেষ হাছেন আলীর মেয়ে শিউলী বেগম থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেন বলে জানা গেছে । 
প্রতিবেশী মোঃ ইসলাম উদ্দিন (৬০), মোঃ হানিফ (৩৫)সহ স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা বলেন, হাছেন আলী ও শিউলী বেগমরা খুব গরীব ও নিরীহ মানুষ । ক্রয় ও বিআরএস মূলে তারা যে জায়গার মালিক সেই জায়গা দখলে রেখেছেন গোলাম বক্সের ছেলেরা । যা কারোই কাম্য নয় । 
ভুক্তভোগী হাছেন আলী ও তাঁর মেয়ে মোছাঃ শিউলী বেগম (৩৭) বলেন, পৈতৃক সম্পত্তি, ক্রয়সূত্র ও বিআরএস মূলে বাড়ি ও পুকুরের জায়গায় মালিকানা রয়েছে । এগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে বিবাদীরা আমাদের মারধরও করে । এতে করে শিউলীর পেটে আঘাতের ফলে গর্ভপাত হয় তাঁর । পরে মামলা মোকদ্দমায় গেলে গ্রাম্য দরবারে মীমাংসার কথায় মামলা উইথড্র করালেও জমিজমা বন্টনে তারা কথা রাখেন নি ।
অভিযুক্তদের একজন আঃ সালাম (৫৫) বলেন, এই জায়গা জমি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি । তাছাড়া কোর্টের ডিগ্রি পেয়েছি । আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে তারা রায় পেলে আমরা জায়গা জমি ছেড়ে দেবো । মারধর প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এগুলো নিয়ে মারামারি হয়েছে । ২০হাজার টাকা জরিমানাও দিয়েছি । কোর্টের বিষয় দরবার শালিসিতে শেষ হয় কী করে ! 
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৯জুন) কেন্দুয়া থানার এএসআই আবু রায়হান মুঠোফোনে বলেন, আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে ঘর নির্মাণে নিষেধ করেছিলাম এবং এক পর্যায়ে স্থানীয় সাংবাদিক ও নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে উভয় পক্ষকে নিয়ে সামাজিকভাবে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টাও করেছিলাম । কিন্তু একটি পক্ষ এগিয়ে না আসায় বিষয়টির কোন অগ্রগতি হয় নি । 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo