রৌমারীতে ৭টি ব্রীজ নির্মাণ কাজে ৪৩ কোটি টাকা টেন্ডার হয়। বেধেঁ দেওয়া সময় পার হলেও ঠিকাদারের গাফিলতি ও এলজিইডির দূর্বলতার কারণে আজও সমাপ্তি হয়নি ব্রীজের কাজ। ব্রীজের কাজ শেষ না হওয়ায় পথযাত্রিরা ভোগান্তিতে পড়েছে। অপর দিকে ব্রীজের কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার লাপাত্তা হয়েছে। এদিকে কয়েক দফা কাজের মেয়াদ বাড়ালেও ঠিকাদার কাজ না করায় সুধিমহল প্রশাসনিক দূর্বলতাকেই ইঙ্গিত করছে। এনিয়ে ২,৩ দফা সময় বাড়ালেও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি আইনি ব্যবস্থা। অন্যদিকে ব্রিজ গুলো নির্মাণ কালে জনদূর্ভোগ লাঘবে বাইপাস সড়ক নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ থাকলেও ঠিকাদার তার খেয়াল খুশিমত পথচারিদের জন্য আধাভাঙ্গা বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। যে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জনসাধারণের পারাপারে চরম ভোগান্তি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে কাজের মেয়াদ অর্থ বরাদ্দ বিষয়ে কোন নোটিশ চার্ট টাঙ্গানো হয়নি। ব্রীজ নির্মাণের কাজ ধীরগতি হওয়ায় পৃথক পৃথক ভাবে ৬ টি ইউনিয়নের ৫০ টি গ্রামের প্রায় ৭০ হাজার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
স্বাধীনতার ৫৩ বছরে উন্নয়ন বঞ্চিত কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার ¯স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী বিভাগের অধিনে (এলজিইডির) প্রোগ্রাম ফোর সার্পোটিং রোরাল এর মাধ্যমে এলাকার যোগাযোগ উন্নয়নে এই প্রথম বড় বড় ৭ টি ব্রীজ নির্মাণ কাজে অনুর্ধ ১০০ মিটার ও ঘুর্ণীঝড় আমপান ও বন্যায় ক্ষতিগ্র¯’ পুর্ণবাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২-২৩ ও ২০২৪ অর্থ বছরে মোট ৪৩ কোটি ১৬ লাখ ২২ হাজার ৫৪৫ টাকা ব্যায় সাপেক্ষে নির্মানের কাজ টেন্ডার হয়। যেমন, বালিয়ামারী জিসি চুলিয়ারচর সড়কে ৩৬.০৬ মিটার, থানামোড় দাঁতভাঙ্গা জিসি ভায়া বাঞ্ছারচর সড়কে ৩৬.০৬ মিটার, বালিয়ামারী জিসি ভায়া চুলিয়ারচর সড়কে ৬০.০৬ মিটার, কর্তীমারী জিসি বড়াইবাড়ি বিওপি ক্যাম্প ভায়া বাওয়াইর গ্রাম সড়কে ৬০.০৬ মিটার, থানা মোড়-দাঁতভাঙ্গা জিসি ভায়া বাঞ্ছারচর সড়কে ৩০.০৬ মিটার, কর্তিমারী বড়াইবাড়ি খালের উপর কাশিয়াবাড়ী সড়কে ৯৬ মিটার, রৌমারী হাপাতীকান্দা গ্রাম থেকে বেহুলারচর সড়কে ৫৭ মিটার ও শৌলমারী আরএমএইচ জয়নাল চেয়ারম্যানের বাড়ির নিকট সড়কে ৪২ মিটার।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত উল্লেখিত ¯স্থানের কাজ গুলি নিজ উপজেলার বাইরের ঠিকাদার সর্বচ্ছো দরদাতা হিসেবে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পেলেও উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকগন কাজ গুলি বিক্রি করে দেন ¯স্থানীয় ঠিকাদারের নিকট। ফলে কাজে চরম গাফলতি লক্ষ্য করাযায়। কাজ গুলো ¯স্থানীয় ঠিকাদারের নিকট বিক্রি করায় একদিকে কাজের মান খারাপ, অন্যদিকে কাজে গড়িমশি, ফলে উন্নয়ন ব্যাহত ও জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই।
সরেজমিন চিত্রে দেখাগেছে, ৭টি ব্রীজের কাজ কোথাও পাইলিং সম্পন্ন হয়েছে, কোথাও আংশিক কাজ হয়েছে, কোন ব্রীজ দিয়ে চলাচলের জন্য খুলে দিলেও এখনো পুর্ণাঙ্গ কাজ শেষ হয়নি। কাজ বন্ধ রাখার বিষয়ে একাধিক ঠিকাদারের সঙ্গে মোবাইল যোগাযো করে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মনসুরুল হক বলেন, বন্যা জনিত কারনে কাজ গুলি বন্ধ রয়েছে। খুব শিঘ্রই কাজ চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য ঠিকাদারদের তাগীদ দেয়া হবে।