যশোরে যানজট নিরসন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, খুনজখম কমানো, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান চালানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটি।
গত রোববার সকালে যশোর জেলা কালেক্টরেট ভবনের অমিত্রাক্ষর সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে এ সভা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি, ভারপ্রাপ্ত এডিএম) মোছা. খালেদা খাতুন রেখা, সহকারী সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকছিমুল বারী অপু, র্যাব-৬ এর প্রতিনিধি সহকারী পুলিশ সুপার ফয়সাল তানভীর, শিক্ষাবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যুবলীগের জেলা সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণসহ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
সভায় জানানো হয়, জানুয়ারি মাসে ৬ খুন, সিঁদেলচুরিসহ ৩৮টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সব নিয়ে জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা ও সমালোচনা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি বাদে সব খুনের বিষয় শনাক্ত হয়েছে, আসামিরাও আইনের আওতায় রয়েছে। খুন বা ছুরিকাঘাত যাইই হোক সবগুলিই পারিবারিক, ব্যবসায়িক দ্ব›দ্ব বা হঠাৎ ঘটা ঝগড়া, রাগারাগির ফসল, পূর্ব পরিকল্পিত নয়।তারপরও পুলিশ তৎপর রয়েছে। বেশিরভাগ চুরি যাওয়া মালামালও উদ্ধার হয়েছে। আগামী দিনগুলি আরো দৃঢ়তার সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক নিয়ন্ত্রণসহ অপরাধমূলক কর্মকাÐ রোধে ভ’মিকা রাখবে। শুধু তাইই নয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেনা মেনে বাজার অ¯ি’তিশীলতা রোধে এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।এছাড়াও জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় শহরের যানজট কমানো, হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট বিরুদ্ধে ব্যব¯’া নেয়া, হাসপাতাল-ক্লিনিকের সামনের জট কমানোসহ বিভিন্ন কাজে নিয়তমিতভাবে যৌথ অভিযানে পরিচালনাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বা¯’্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্লিনিক ও ডায়াগোনিস্টিক সেন্টারের অনুমোদন দেয় স্বা¯’্য মন্ত্রণালয়, সিভিল সার্জনের এক্ষেত্রে ভ’মিকা তেমন নেই। সে সময় জেলা স্বা¯’্য বিভাগ আরও জানায়, যশোরের কোনো ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়গোনস্টিক সেন্টারের নিজস্ব পার্কিং ব্যব¯’া নেই, এ কারণেও দিন দিন শহরে যানজট মারাত্মক আকার ধারণ করছে।
সভায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজার মনিটরিং করা, রমজানে বাজার ¯ি’তিশীল রাখতে যশোর ও নওয়াপড়ায় আমদানিকারখ ও বড় ব্যসায়ীদের সাথে বৈঠক করাসহ নানা উদ্যোগের কথা জানানো হয়। এ সময় আলেঅচকরা জানান, বার বার ম্যাজিস্ট্রেসি অভিযান চালালে ব্যবসায়ীঅরা নিজেরাই প্যানিক ছড়িয়ে বাজরকে অ¯ি’তিশীল করার সুযোগ নিতে পারে।এ সময় জানানো হয়, নওয়াপাড়ায় ব্যবসায়ীরা বাজারে খাদ্য দ্রব্য না ছেড়ে গুদামে পচিয়েছে। এ ক্ষেত্রে গুদামজাতকারীদের প্রতিদিনের গুদামে রক্ষিত স্টক তালিকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাচাই করারও সিদ্ধান্ত হয়। সভায় জানানো হয়, পৌরসভার বড় বাজারে ২০০৪ সালে ইজারা মূল্য ছিল মাত্র আড়াই লাখ টাকার মতো, এখন তা ৬৫ লাখ টাকায় চলছে ফলে কাঁচামালের দামও বাড়ছে এবং ভোক্তাকেই এই বাড়তি টাকা দিতে হ”েছ। ইজারাদররা শহরসহ বিভিন্ন এরঅকার হাট-বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ই”েছমতো টোল আদায় করে।সভায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিজিবি, র্যাবসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা গতমাসে তাদের গৃহীত উদ্যোগ ও ব্য¯’ার চিত্র তুলে ধরেন।