কাঠালিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে বসত ঘর ও দোকানের মালামাল লুট করার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ঝালকাঠির কাঠালিয়ার বটতলা বাজারে পুলিশ পরিচয়ে মোঃ হারুন অর রশিদের বসতঘরে ঢুকে নারী, বৃদ্ধ ও কিশোরীদের হাত পা বেঁধে মালামাল লুট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়া নাসির খান সরোয়ার ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
০৩ মে দুপুর ১২ টায় কাঠালিয়া-আমুয়া সড়কের বটতলা বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে মানববন্ধনে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী মোঃ হারুন অর রশিদ, স্ত্রী রোজিনা বেগম, ছেলে মেহেদী, পুত্রবধু লাকী আক্তার, প্রতিবন্ধী মেয়ে শিরিন আক্তার, সাবরিনা, ফাতেমা ও স্কুল পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া, ভাই আঃ রহিম, জামাতা ইব্রাহিম ও আব্দর শুক্কুর সহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, আনইলবুলিয়া গ্রামের ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রভাবশালী নাসির খান সরোয়ারের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা রাতের আঁধারে আমাদের হাত পা মুখ বেঁধে অস্ত্রের ঠেকিয়ে আইয়ামে জাহেলিয়াতের কায়দায় লুট-পাট করে এবং ছয়টি দোকান ভাঙচুর করে গুড়িয়ে দেয়।এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। মামলার চার দিন পরেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। আমরা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। সন্তানরা ভয়ে স্কুলে যেতে পারে না। আমাদের সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ আসামিদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।
উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে (রাত ৪টায়) আনইলবুনিয়া গ্রামের নাসির খান সারোয়ারের ভাড়াটি সন্ত্রাসী বাহিনী কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের আমুয়া - কাঠালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বটতলা বাজারের হারুন অর রশিদের পরিবারের সদস্যদের বেধেঁ অস্ত্রের মুখে লুটতরাজ চালিয়ে ৮ ভরি স্বর্ণ, ৫টি মোবাইল ও নগদ ৭৪ হাজার টাকা এবং জমা-জমির দলিলপত্র নিয়ে যায়।
ঘরের বাহিরে থাকা অন্য সন্ত্রাসীরা বসতঘর সংলগ্ন বটতলা বাজারে ছয়টি দোকানঘর গুড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে দোকানের মালামাল ও টাকা লুট করে নিয়ে যায় ।
এতে ব্যবসায়ির প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি।