কাঠালিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে ঘর হারিয়ে দিশেহারা ৪ সন্তানের জননী মুক্তা

মোঃ ফয়সাল আহম্মদ প্রকাশিত: ৩০ মে , ২০২৪ ০৭:৫১ আপডেট: ৩০ মে , ২০২৪ ০৭:৫১ এএম
কাঠালিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে ঘর হারিয়ে দিশেহারা ৪ সন্তানের জননী মুক্তা
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আমরিবুনিয়া গ্রামের সোহাগ মিয়ার স্ত্রী চার সন্তানের জননী মুক্তা বেগম (৩৫) এর বসত ঘর ঘুর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ।

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আমরিবুনিয়া গ্রামের সোহাগ মিয়ার স্ত্রী চার সন্তানের জননী মুক্তা বেগম (৩৫) এর বসত ঘর ঘুর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ।

২৭ মে সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। এ সময় মুক্তা বেগম চার সন্তান ও তার বৃদ্ধ শাশুড়িকে নিয়ে ওই ছোট্ট ঘরে অবস্থান করতেছিল। পানি বাড়তে থাকায় তারা চৌকির উপর বসে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করতেছিল। এমন সময় প্রলয়ংকারী বাতাস এসে তাদের ঘরে টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে যায় এবং ঘরটি প্রায় ভেঙে পড়ে।

এ সময় মুক্তা বেগম আর সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে পাশের একটি বিল্ডিং এর বৈঠকখানায় অবস্থান করেন। ঝড়ে ঘর বিধ্বস্ত হওয়া ছাড়াও বৃষ্টিতে ঘরের প্রায় সব মালামাল ও খাবার নষ্ট হয়ে যায়। সব হারিয়ে এখন তিনিঙ খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। মাথা গোঁজার ঠাঁই আর তার নেই। খবর পেয়ে স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.  ফয়সাল আহন্মদ তাদেরকে তার বাসায় আশ্রয় দেন । 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঘরটি ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঘরের সব মালামাল ও খাবার দাবার নষ্ট হয়ে গেছে। মুক্তা বেগমের সাথে আলাপকালে জানা যায় ছোট ছোট ৪টি শিশুসন্তান ও বৃদ্ধ শাশুড়িকে রেখে অনেক আগেই তার স্বামী কোথায় যেন চলে গিয়েছে। তাদের কোন খোঁজ খবর রাখে না। অন্যের বাড়িতে কাজ করে অনেক কষ্ট করে সংসার চলে মুক্তা বেগমের।  তিনি বলেন ভাঙ্গা ঘর আবার ঠিকঠাক  করবো, সেই টাকাও আমার কাছে নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার ঘরটি নির্মাণ করে দিলে আমি তার নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকব। 

মুক্তা বেগমের শাশুড়ি বলেন, আমি আমার বৃদ্ধ বয়সে নাতিদের নিয়ে একটা নিরাপদ আশ্রয় থাকতে চাই। আপনারা একটু সেই ব্যবস্থা করে দেন। আট বছরের মেয়ে লামিয়া জানায়, আমার পড়ালেখা করার মত একটা ঘর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৈরি করে দেবে এটা আমার দাবি। 

স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.  ফয়সাল আহম্মদ বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে, তাদেরকে আমার ঘরে আশ্রয় দিয়েছি। আমি চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে আলাপ করে তার ঘরটি মেরামতের চেষ্টা করব। 

কাঠালিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মো.  মাহমুদুল হক নাহিদ সিকদার বলেন,  আমি বিষয়টি জানতে পেরে সরেজমিন সেখানে গিয়েছি। সরকারি বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে ঐ মহিলাকে ঘর তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo