ঐতিহ্যবাহী জামসিং শুকুর জান জিন্নাত আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়

গোলাম রাব্বানী প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর , ২০২৪ ১৩:১১ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর , ২০২৪ ১৩:১১ পিএম
ঐতিহ্যবাহী জামসিং শুকুর জান জিন্নাত আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
আর্থিক খাতে দুর্নীতির কিছু চিত্র এক স্কুল শুরু থেকেই প্রধান শিক্ষক বিভিন্নভাবে অর্থ উপার্জন করে অঢেল সম্পত্তি করে তুলেছেন যার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হলে তা প্রচুর টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন

আর্থিক খাতে দুর্নীতির কিছু চিত্র এক স্কুল শুরু থেকেই প্রধান শিক্ষক বিভিন্নভাবে অর্থ উপার্জন করে অঢেল সম্পত্তি করে তুলেছেন। যার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা হলে তা প্রচুর টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিয়ে রেখেছেন। ২ স্কুল ১৯৯৮ সাল থেকে চালু হওয়ার পর প্রতিবছর অষ্টম ও নবম শ্রেণীর প্রায় ৪০০ ছাত্রছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন ফরম ফিলাপ বাবদ প্রচুর টাকা স্কুলে না নিয়ে নিজ বাসায় লেনদেন করেছেন। এইভাবে 10 থেকে 12 লক্ষ টাকা নিয়েও তিনি তা স্কুল ফান্ডে জমা দেননি এই টাকা তিনি বিভিন্ন স্কুল যেমন সাভার ল্যাবরেটরি স্কুল স্বর্ণকলি স্কুল থেকে নিয়েছেন যার তথ্য এইসব স্কুলে থেকেই পাওয়া যাবে ।তিন সরকার থেকে আসা বিভিন্ন অনুদানের টাকা উপবৃত্তির টাকা তিনি স্কুল ফান্ডে জমা করতেন না । সভাপতিকে না জানিয়ে ও তাদের স্বাক্ষর জাল করে এই টাকা প্রধান শিক্ষক নিজের পকেটে ভরেছেন। অষ্টম শ্রেণী ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নম্বরপত্র ও সনদপত্র বিতরণ বাবদ প্রতিবছর প্রায় তিন থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়েছেন যা কখনো স্কুল ফান্ডে জমা দেননি ।৫ স্কুলের পরীক্ষার খাতা কাগজ ও বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করা টাকা ও স্কুল ফান্ডে জমা দেন না ছয় টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে রিটেস্ট বাবদ প্রতি বিষয়ে যে টাকা নেন তাও জমা দেন না। ইস্কুলের বেশিরভাগ অবৈধ টাকা উত্তোলন করেন মিজানুর রহমান জিবাতুন্নেসা আক্তার ও বুলবুলি খাতুন কে দিয়ে বাড়তি টাকা লেনদেন যাতে কেউ না ধরতে পারে। সেই জন্য তিনি এদেরকে সব সময় ই অষ্টম নবম দশম শ্রেণীর শ্রেণী শিক্ষক করে রাখেন৭প্রধান শিক্ষক কোন নিয়ম নীতি না মেনে স্কুল থেকে যে বেতন নেন তার কোন হিসাব দেন না ।যে কোন পদ্ধতিতে বেতন নিচ্ছেন কিছু বললেই বলেন এই বেতন আমাকে কমিটি দিয়েছে তা নিয়ে কেউ কথা বলবেন না। সরকারি প্রজ্ঞাপনে রয়েছে যে স্কুল থেকে প্রাপ্য বেতন এমপিও ভুক্ত শিক্ষক গ্রহণ খন্ডকালীন শিক্ষকদের থেকে এক টাকা হলেও বেশি পাবে কিন্তু তিনি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে খন্ডকালীন শিক্ষকদের বেতন বেশি দেন দুর্নীতি করা সুবিধার জন্য। তিনি কোন কমিটি যেমন ক্রয় কমিটি অর্থ কমিটি করেন না স্কুল পরিচালনার জন্য বাজেট প্রণয়ন করেন না তিনি এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি অডিট করান নি যাতে দুর্নীতির বিষয়টি ধরা পড়ে ।এই ভয়ে শিক্ষা খাতে দুর্নীতি বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর ক্লাস শিক্ষক প্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে নেয়ার কথা থাকলেও তিনি তা করেন না প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক বেলায়েত হোসেন যেবাতুন্নেছা আক্তার মিজানুর রহমান বুলবুলি খাতুন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেও তারা এইসব শ্রেণীর কোন ক্লাস নেন না তারা শুধু অষ্টম নবম দশম শ্রেণীর ক্লাস নেন ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস একজন ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখার শিক্ষক দিয়ে নেন।  বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় আস্থাশীল নন উনার ঘনিষ্ঠ সহচর বুলবুলি খাতুন ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক হয়ে ও দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান শাখার গণিত ক্লাস নেন । যেখানে তিনি সহজে গণিত সমাধান করতে পারেন না নোট বই ছাড়া ছাত্র-ছাত্রীরা আপত্তি করা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষকতা গ্রহণ করেন না । বুলবুলি খাতুন অষ্টম শ্রেণীর শ্রেণী শিক্ষককে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কোন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ ৫ পায়নি স্কুলে তিনজন গণিত শিক্ষক থাকার পরও তিনি গণিত ক্লাস নেন।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo