বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে একটি স্কীমের আওতায় সেচ কার্যক্রম পরিচালনাকারী আহম্মেদ আলীর বিরুদ্ধে কৃষি জমিতে সেচের পানি না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একারনে উপজেলার সান্দিড়া ও কলসা মৌজায় প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে আবাদ শুরু করতে পারেনি সেখানকার কৃষকরা। তারা নতুন করে সেচ প্রকল্প স্থাপনের দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে একটি স্কীমের আওতায় সেচ কার্যক্রম পরিচালনাকারী আহম্মেদ আলীর বিরুদ্ধে কৃষি জমিতে সেচের পানি না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একারনে উপজেলার সান্দিড়া ও কলসা মৌজায় প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে আবাদ শুরু করতে পারেনি সেখানকার কৃষকরা। তারা নতুন করে সেচ প্রকল্প স্থাপনের দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত আবেদন করেছেন।
ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, কয়েক যুগ ধরে উপজেলার সান্দিড়া গ্রামের মৃত মছির আলীর ছেলে আহম্মেদ আলী তার নিজ কৃষি জমিসহ অর্ধশত বিঘা জমিতে সেচ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তিনি বৃদ্ধ হওয়ায় সঠিকভাবে সেচ প্রদান করতে পারছিলেন না। একারনে ধানের ফলন আশানুরূপ হচ্ছিল না। প্রতিকার চেয়ে গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারী ইউএনও বরাবর ২৭জন কৃষক সম্মিলিতভাবে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সে মৌসুমে কোনোমতো চাষাবাদ করে ফসল ঘরে তুলতে পারলেও চলতি মৌসুমে নিজ জমি ছাড়া অন্য কারো জমিতে তিনি পানি দিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী নিরুপায় হয়ে ওই মাঠের ৩২জন ভুক্তভোগী কৃষক স্বাক্ষরিত ইউএনও বরাবর একটি একটি লিখিত আবেদন প্রদান করেন। সেই আবেদনে নতুন করে অচিরেই সেচ প্রকল্প স্থাপনের দাবী জানান তারা।জানতে চেয়ে সেচ কার্যক্রম পরিচালনাকারী আহম্মেদ আলীর সাথে একাধীকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আফরোজ বলেন, জমিতে সেচের পানি না দেওয়ার অভিযোগটি পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। তারা রবিবার ঘটনাস্থলে যাবেন।