অভয়নগর উপজেলার চেংগুটিয়া বাজার থেকে মাদক কারবারি রবিউল ইসলাম কে ৪৩ পিচ ইয়াবাসহ আটক করেছে অভয়নগর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যার পরে চেংগুটিয়া বাজারে তরিকুলের চায়ের দোকানের পাশে এ মাদক কারবারি রবিউল ঘোরাঘুরি করতে থাকে, স্হানীয় জনগন থানায় খবর দিলে এস আই সাইফুল এসে তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। এক পর্যায়ে চ্যালেন্জের মধ্যে রবিউলের কাছে থাকা গুলির কৌটার ভেতরে লুকানো ৪৩ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এ সময় তাকে আটক করে অভয়নগর থানায় নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়ে অভয়নগর থানার (ওসি) মো. আব্দুল আলিম উদ্দিন বলেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা খবর পায় চেংগুটিয়া বাজার থেকে তাকে আটক করে অভয়নগর থানায় নিয়ে আসি। এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ পড়লে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্হা গ্রহন করবো। এ ছাড়া ওই দিনে অপর একটি রেল পাটি চুরি সংঘটিত হয়। স্হানীয়রা বলেন চেংগুটিয়া বাজারের রেলস্টেশন থেকে প্রায়ই রেল পাটিসহ বিভিন্ন রেলের যন্ত্রপাতি চুরি হয়।বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকটা রেল পাটি খুলে নিয়ে যায়। ইজি বাইকের করে নিয়ে যাওয়ার সময় সাহিদা তেল পাম্প এলাকায় পৌঁছালে জনগন আটকানোর চেষ্টা করলে চোরেরা পালাতে পারলেও ইজি বাইক চালককে ধরে ফেলে। এ সময় চালক মনিরুল বলেন আমি বসুন্দিয়া থেকে চেংগুটিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে সাহিদা তেল পাম্প এলাকায় পৌঁছালে বালিয়াডাঙ্গা উত্তর পাড়ার মৃত আফতাব শিকদারের ছেলে মোজাহার হোসেন, লিয়াকত আলীর ছেলে মুক্তার হোসেন ও বালিয়াডাঙ্গা গাজী বাড়ির মৃত মোহর গাজীর ছেলে ওহিদুল গাজী ৩ জন মিলে আমার ইজিবাইকে জোর করে রেলের পাটিগুলো উঠায়।তখন আমি চিৎকার দিলে আশেপাশের লোক ছুটে আসে। আমি রেলের পাটিগুলো নিয়ে চেংগুটিয়া বাজারে আসি।এ সময় স্হানীয় জনগন যশোর রেলওয়ে খবর দিলে রেল কর্মকর্তা সুমন কুমার বসু ঘটনাস্থলে এসে রেলপাটিগুলো নিজ হেফাজতে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি বলেন রেল কতৃপক্ষ পুরো ঘটনা তদন্ত করে সুষ্ঠু ব্যবস্হা গ্রহন করবে।