গৌরীপুরে তাল্লু স্পিনিংয়ের গোডাউন যেন যুদ্ধক্ষেত্রের ধ্বংসস্তুপ

শামীম খান প্রকাশিত: ২৭ জুলাই , ২০২৪ ১৬:১৩ আপডেট: ২৭ জুলাই , ২০২৪ ১৬:১৩ পিএম
গৌরীপুরে তাল্লু স্পিনিংয়ের গোডাউন যেন যুদ্ধক্ষেত্রের ধ্বংসস্তুপ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের তাল্লু স্পিনিং মিলের আগুনের পুড়ে যাওয়া একটি তুলার গোডাউনের ভেতরে ঢুকে এমন চিত্রের দেখা মিলে।এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জের গত শনিবার ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের কলতাপাড়া বাজারে পুলিশের ওপর হামলার পাশাপাশি তাল্লু স্পিনিং মিলে তান্ডব চালায় দুবৃর্ত্তরা। এসময় মিল ভাঙচুর ও পুলিশের দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগও করে দুবৃর্ত্তরা।

বিশাল বড় গোডাউনটির ভেতর সবখানে আগুনে পোড়া চিহ্ন।  গোডাউনের মেঝেতে স্তুপ স্তুপ হয়ে আছে পুড়ে যাওয়া তুলা। লন্ড-ভন্ড গোডাউনের ভেতরে পোড়া পুলিশের গাড়ি দেখে মনে হয় এটি কোন যুদ্ধক্ষেত্রের ধ্বংসস্তুপ।

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের তাল্লু স্পিনিং মিলের আগুনের পুড়ে যাওয়া একটি তুলার গোডাউনের ভেতরে ঢুকে এমন চিত্রের দেখা মিলে।এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জের গত শনিবার ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের কলতাপাড়া বাজারে পুলিশের ওপর হামলার পাশাপাশি তাল্লু স্পিনিং মিলে তান্ডব চালায় দুবৃর্ত্তরা। এসময় মিল ভাঙচুর ও পুলিশের দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগও করে দুবৃর্ত্তরা।

জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত শনিবার বেলা ১১টায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের কলতাপাড়া বাজারে অবস্থান করে আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।

একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে ধাওয়া করলে পুলিশ স্থানীয় তাল্লু স্পিনিং মিলে আশ্রয় নেয়। পরে আন্দোলনকারীরা ওই মিলে প্রবেশ করে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মিল ভাংচুর করার পাশাপাশি পুলিশের দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়লে ফের দুপেক্ষর সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয় । আহত হন  গৌরীপুর থানার ওসি সুমন চন্দ্র রায় সহ সহ দুপক্ষের অন্তত ৩০ জন।

নিহতরা হলেন-  ডৌহাখলা ইউনিয়নের চূড়ালি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে বিপ্লব -১৯, রামগোপালপুর ইউনিয়নের দামগাও গ্রামের হেলিমের ছেলে রাকিব (১৯) ও কাউরাট আনোয়ার উদ্দিনের  ছেলে জুবায়ের (২১)।তাল্লু স্পিনিং মিলের সিনিয়র ম্যানেজার (ইলেকট্রিক) ঈসমাইল হোসেন বলেন, পুলিশের সাথে সংঘর্ষের সময় দুবৃর্ত্তরা যখন মিলের দরজা-ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তখন পুলিশের গাড়ি চালক গাড়ি দুটোকে আমাদের গোডাউনের ভেতর নিয়ে রাখে।

দুবৃর্ত্তরা সেখানে গিয়ে গাড়িগুলোতে অগ্নিসংযোগ করে।আমরা অনেক অনুনয়-বিননয় করে বলেছি আগুন দিলে মিলের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তারা আমাদের  কোন কথাই না শোনেনি।  ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার মতো।এদিকে আন্দোলনকারীদের হামলায় আহত গৌরীপুর থানার ওসি সুমন চন্দ্র রায়কে গৌরীপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে ময়মনসিংহ পুলিশ অফিসে সংযুক্তি করা হয়েছে।নতুন যোগদানকৃত গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাসান আল মামুন বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় গৌরীপুর থানায় পুলিশ বাদী দুটি মামলা দায়ের করেছে। 


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo