ঢাকা রাজধানীর নীলক্ষেত পলাশীর মাঝামাঝিতে অবস্থিত ব্যানবেইস ভবনে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচা- রীদের অবসর ভাতা ও কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যালয়।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঃ ব্যানবেইস ভবনের দৃশ্যটি এমন হতে পারে। তা নিজ চোখে না দেখলে বুঝতে পারবেন না। কতটা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে,বেসরকারি অবসর প্রাপ্ত, শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে। কেউ কাগজপত্র গোছাতে ব্যস্ত,কেউ এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছেন কেউ-বা ক্লান্ত হয়ে বসে আছেন। কেউ নিজেদের মাঝে খোশগল্প করছেন,তবে তাদের গল্পোগুলো সুখের নয়,বরং দুঃখের। এটিই এখানকার নিত্য-দিনের দৃশ্য। আর এ দৃশ্য হতাশার,এবং এ, দৃশ্য কষ্টের,ও এ দৃশ্য যেন,চরম ভোগান্তির। বলছিলাম বাংলাদে- শে,শিক্ষাতথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরো -র,কথা যা,২০০২সালের২৭নম্বর আইনের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী অবসর সুবিধা নিয়ে যে,বোর্ড গঠন করা হয়। আর১৯৯০সালে কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফ- তর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর, এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদফত- রের অধীনে। এমপিওভুক্ত যেসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
অব সরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারী- দের,অবসর সুবিধা প্রদান সহ- কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা কার্যক্রম রয়েছে এই দুই বোর্ডের আওতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদে- র,থেকে ৬শতাংশ টাকা সঞ্চয় করে,অবসর সুবিধাদি প্রদান করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও,৪ শতাংশ সঞ্চয় করে কল্যাণ ট্রাস্ট সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। সেই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠা- নের,শিক্ষককর্মচারীদের অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যালয়। প্রতিদিনই দেশের ৬৪, টি জেলা থেকে আগত অবসর- প্রাপ্ত শিক্ষকরা ভিড় জমায়। এ ক্ষেত্রে তাদের অনেকে,এখানে এসে ঘুরতে ঘুরতে জুতার তলা ক্ষয় করেন। তবু মেলে না নিজে- দের কাক্সিক্ষত অবসরের টাকা, ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা।
উল্লেখ্য যে ঃ বিগত দিনে এ নিয়ে গণমাধ্যমেও অনেক লেখা- লেখি হয়েছে। সরেজমিন প্রতি- বেদনও করা হয়েছে,কিন্তু তাতে কি একটুও পরিবর্তন এসেছে? ব্যানবেইস কার্যালয়ের নিচতলা- য়,গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে হয়তো তাদের নানা ভোগান্তির বিষয়ে এখনও জানা যাবে। জাতির মেরুদণ্ড গড়ার এই কারিগররা জীবনসা- য়াহ্নে এসে,কী রকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তা কেবল মাত্র এই ব্যানবেইস ভবনের নিচ তলায় আসলেই তা,বুঝতে পারবেন। ২০১৮সালে আবেদন করে২০২৩,এসে অবসারের টাকা পাওয়া গেলেও,কিন্তু কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা দুএক বছর লেগে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। এই হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের,অবসর নেয়ার ফলাফল। এইভাবে মানুষ হয়রানির শিকার হলে,ভবিষ্যতে শিক্ষক পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন মানুষ বানোর কারিগর শিক্ষক-মন্ডলীরা।
এ বিষয়ে, সদস্য সচিব অবসর সুবিধা বোর্ড ঢাকা অধ্যাপক জাফর আহমেদ বলেন,জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানান।