দীর্ঘ সময় ধরে অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে লিপ্ত এমন অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়ন এর ৭নং ওয়ার্ড বাসিন্দা আমান উল্লাহ চৌধুরী রোভেজ (৪২) এর বিরুদ্ধে৷
অভিযোগকারী নাঈমা আক্তার(২৫) চরম্বা নাছির মোহাম্মদ পাড়া, ২নং ওয়ার্ড লোহাগাড়া চট্টগ্রাম এর বাসিন্দা শাহ আলম এর কন্যা।
নাঈম আক্তার বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আমান উল্লাহ চৌধুরী রোভেজ এর সাথে মোবাইলে কথা হয়৷ কথা বলার এক পর্যায়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুবাদে তার সাথে ভিবিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা হয়।এক পর্যায়ে তার সাথে শারীরিক মেলামিশা করি৷
রোভেজ আমাদের শারিরীক মেলামেশারর অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি, ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরর্বতীতে রোভেজ আমার স্বামী সন্তান আছে জানার পরও আমাকে বিয়ে করার জন্য বাড়ি-গাড়ি করে দেবে, ব্যাংক-ব্যালেন্স করে দেবে বলে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখায়। আমি বিয়েতে রাজি না হওয়ায় বিবাদী আমার সাথে অন্তরঙ্গ মূহুর্তে তোলা ছবি-ভিডিও এবং কথা বলার কল-রেকর্ড বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দিতে থাকে। আমার আত্মীয়-স্বজনসহ আমার প্রবাসী স্বামীর কাছেও আমাদের অন্তরঙ্গ মূহূর্তে তোলা ছবি-ভিডিও এবং কথা বলার কল-রেকর্ড পাঠানোর হুমকি দিতে থাকে। রোভেজ আমাকে বিয়ে করার জন্য বেশি চাপ দিলে একপর্যায়ে আমি রোভেজের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিই। রোভেজ মোবাইল নাম্বর থেকে কল রিসিভ না করলে সে বিভিন্ন নাম্বর থেকে কল করে বিয়ে করার জন্য ভয়-ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। গত ২৬/০৬/২৬খ্রি. লোহাগাড়া থানাধীন ৪নং চরম্বা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নাছির মোহাম্মদ পাড়া আমার পিতার বসত ঘরে অবস্থানকালীন সকাল ৮:০০ টার সময় আমি জানতে পারি রোভেজ আমার মা হোসনে আরা বেগম চরম্বা, নাছির মোহাম্মদ পাড়া, আমার খালা ছেনু আরা বেগম (৩৮) স্বামী-হারুনুর রশিদ, ঠিকানা-চরম্বা, নোয়ারবিলা এবং আমার স্বামী মোঃ হাবিব (৩৬) পিতা-মৃত বদিউর রহমান, সাং-চরম্বা, নাফারটিলা, সর্ব থানা- লোহাগাড়া, মোবাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমু ও হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে আমাদের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে দেয়। আমার আত্মীয়-স্বজনের মোবাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমু ও হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে আমার মান-সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। ফলে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। এই বিষয়ে আমি লোহাগাড়া অস্থায়ী সেনা-ক্যাম্পে জানালে সেনা বাহিনীর সদস্যগণ আমান উল্লাহ চৌধুরী রোভেজকে আটক করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। তার ব্যবহৃত মোবাইলে আমাদের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি দেখতে পেয়ে মোবাইলসহ আটক বিবাদীকে থানায় জমা দেন। যেকোনো সময় বিবাদী আমার আরও ক্ষতি করতে পারে মর্মে আশঙ্কা হচ্ছে বিধায় বিষয়টি পরিবার পরিজনের সাথে আলাপ আলোচনা করে থানায় অভিযোগ দায়েরে বিলম্ব হলো।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান বলেন, আমান উল্লাহ চৌধুরী রোভেজ এর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।