মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজন ও উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে মণিপুরী সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব মহারাসলীলা। বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১২টায় রাখাল নৃত্য বা গোষ্ঠলীলা পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
নৃত্য চলাকালীন সময়ে ভক্তরা মণ্ডপে বাতাসা ছিটিয়ে বাতাসা বৃষ্টি করেন। পরে ভক্তরাই সেই বাতাসা কুড়িয়ে নেন যা উৎসবের একটি বিশেষ ঐতিহ্য। সন্ধ্যার পর শুরু হবে রাসোৎসবের মূল আকর্ষণ রাস নৃত্য, যা দেখতে লাখো দর্শনার্থীর ঢল নামবে বলে আশা আয়োজকদের।
উৎসবকে ঘিরে কমলগঞ্জের মাধবপুর জোড়া মণ্ডপ ও আদমপুরের সানাঠাকুর মণ্ডপ এলাকাজুড়ে চলছে সাজসজ্জা ও প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। সাদা কাগজের নিপুণ কারুকাজে সজ্জিত মণ্ডপগুলো এখন পরিণত হয়েছে রঙ, আলো ও শিল্পের এক অনন্য সৌন্দর্যে। সকাল থেকেই আশপাশের এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এখানে ছুটে আসছেন।
শিশু, কিশোর, নারী, পুরুষ সব বয়সের মানুষে উপচে পড়েছে মাধবপুর জোড়া মণ্ডপ প্রাঙ্গণ। এক পর্যায়ে দর্শনার্থীদের ঢলে যখন স্থানটি কানায় কানায় পূর্ণ, তখন রাখাল নৃত্যের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় রাসোৎসবের মূল পর্ব।
মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ বলেন,
“রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিবছরই দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী এখানে আসেন। আমরা আশাবাদী, সকলের সহযোগিতা ও প্রশাসনের সহায়তায় এ বছরের উৎসবও সফলভাবে সম্পন্ন হবে।”
উৎসব উপলক্ষে রাতে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। মণিপুরী সম্প্রদায়ের এই মহারাসলীলা উৎসব এখন কমলগঞ্জের মানুষসহ সমগ্র মৌলভীবাজারে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।