নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাসরত বাসিন্দার বিল্ডিং ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে বাধা দেওয়ায় বাড়িতে হামলা ও ভুক্তভোগীকে খুন জখমের হুমকির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।
গত ৪ নভেম্বর গড়াডোবা ইউনিয়নের টাংগুয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আঃ গফুরের ছেলে মো. ফজলুল হক (৬২) বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আলী নেওয়াজের সন্তান – আব্দুল কাদির (৬০)সহ ৬জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেন ।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বিগত ৩০ বৎসর আগে বিবাদীদের জন্মদাতা জীবদ্দশায় বাদীর নিকট কতক জমি বিক্রি করে। টাকা-পয়সা পরিশোধ করার পর বাদীকে তফসিলি ভূমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার পর স্বত্ববান হয়ে তফসিলি ভূমিতে মাটি কাটিয়ে পুকুর খনন করাসহ বসতবাড়ী নির্মান করে এবং উক্ত বাড়ীতে ‘তার বিল্ডিং বসতঘর গাছ-পালা রোপন করে ভোগ করে আসছিলো । কিন্তু বিবাদীগণ অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার হীনস্বার্থে এবং তাকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির করার হীন মানসিকতায় কু-চক্রী মহলের কু-পরামর্শে বাদীর স্বত্বদকলীয় এবং ক্রয়কৃত তফসিলি জায়গা বেদখল করার সুযোগ খোঁজতে থাকে। এমন অন্যায় তৎপরতা দেখে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে দরবার শালীশের আয়োজন করা হয় । বিবাদীগণের পিতা কর্তৃক বাদীর নিকট বিক্রিত জয়গা দলিল করে না দিয়ে মৃত্যুবরণ করায় বিবাদীগণ বাদীর স্বত্ত্বদখলীয় জায়গা তাকে সাফকাওলা মূলে দলিল রেজিষ্ট্রী করে দিবে মর্মে স্বীকার করে। এরপর জায়গা দলিল করে দেওয়ার জন্য বিবাদীগণ সময় ক্ষেপন করতে থাকে। এই অবস্থায় দলিলের জন্যে তাগিদ অব্যাহত রাখায় বাদীর প্রতি বিবাদীগণ চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩ নভেম্বর সকাল অনুমান ৮ ঘটিকার সময় তার স্বত্ত্বদখলীয় বসতবাড়ীর বাইরাগে পেয়ে তফসিলি ভূমি হতে তার বিল্ডিং বাড়ীঘর ভেঙ্গে নিয়া যাওয়ার কথা বলে। বাদী প্রতিবাদ করায় বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাড়ীঘরসহ তফসিলি ভূমি জোরপূর্বকভাবে বেদখল করবে এবং বাদী বাঁধা দিলে তাকে খুন, জখমে শায়েস্তা করবে হুমকি প্রদান করে । এমনকি বাদীকে ক্রয়কৃত স্বত্ত্বদখলীয় তফসিলি ভূমি দলিল রেজিষ্ট্রী করে দিবেনা বলে অস্বীকার করে। এ পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলের নিকটে থাকা স্থানীয় লোকজন এসে বিবাদীদেরকে দোহাই-দোস্তর দিলে বিবাদীগণ চলে যায়। তবে বিবাদীগণ যেকোন সময় সর্বসাধারণের শান্তি-শৃংখলা ভঙ্গ করতঃ বাদীর স্বত্ত্বদখলীয় বসতবাড়ী অর্থাৎ তফসিলি ভূমি জোরপূর্বকভাবে বেদখল করতঃ খুন-খারাপী ঘটানোর সমূহ আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে উক্ত অভিযোগে।
সরেজমিনে গেলে, ভুক্তভোগী মো. ফজলুল হক বলেন, আমি বিবাদীগণের কর্মকাণ্ডে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি । এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি ।
অভিযুক্তদের একজন আব্দুল কাদির বলেন, উল্লেখিত অভিযোগের কোন সত্যতা নেই । তিনি আরো বলেন, যতটুকু বিক্রি করা হয়েছিলো, অভিযোগকারী এর বেশি দখল করে নিয়েছে । যা কারো কাম্য নয় ।
উক্ত ঘটনায় স্থানীয়রা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানালেও প্রায় ৩ দশক আগে যে, মো. ফজলুল হক জমি ক্রয় করেছিলেন এর সত্যতা মিলে ।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে