৯ মার্চ মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচন

আল আমিন প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৬:৩০ আপডেট: ৮ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৬:৩০ এএম
৯ মার্চ মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচন
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর নির্বাচনী লড়াইয়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে এ নির্বাচনে বিএনপি কোন প্রার্থী দিচ্ছে না। এমনটাই তাদের দলীয় সূত্র মতে দাবি করা হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর নির্বাচনী লড়াইয়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে এ নির্বাচনে বিএনপি কোন প্রার্থী দিচ্ছে না। এমনটাই তাদের দলীয় সূত্র মতে দাবি করা হচ্ছে। 

এবারের উপ-নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: মহিউদ্দিনের বড় ছেলে হাজী মো: ফয়সাল বিপ্লবের সহধর্মিণী চৌধুরী ফারিয়া আফরিন মেয়র পদে উপ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন,এমনটি প্রচার প্রচারণা চলছে পৌর এলাকায়। তাঁর প্রার্থীতার বিষয়টি এ মুহূর্তে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র মতে জানা গেছে। চৌধুরী ফারিয়া আফরিনের স্বামী হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয় লাভ করে। এর ফলে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়েরের আসনটি শূন্য হয়ে যায়। ইতোমধ্যে উপ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করেছেন জেলা নির্বাচন অফিস। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন পত্র দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ও ২৩শে ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের দিন ধার্য করা হয়েছে। 
তাছাড়া হাজী মো: ফয়সাল বিপ্লবের বিজয় লাভের পর বিপ্লবের পরিবারের লোকজন এবার তার স্ত্রীকে আসন্ন উপ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী করে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র মতে জানা গেছে। এ বিষয়ে শহরের প্রধান সড়কে বিল বোর্ড ও ফেস্টুনও টাঙ্গানো হয়েছে মোড়ে মোড়ে। উপ-নির্বাচনে চৌধুরী ফারিয়া আফরিন মেয়র পদে প্রার্থী হলে তাঁর বিজয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এমনটাই দাবি করছে এখানকার ভোটাররা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চৌধুরী ফারিয়া আফরিন মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। তবে নির্বাচনের শেষ সময়ে তিনি সেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। দ্বাদশ নির্বাচনে অনুরুপ মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। কিন্তু স্বামী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব নির্বাচনে থাকলেও তিনি নির্বাচন থেকে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেননি।   

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: মহিউদ্দিনের ভাই মুন্সিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিস  উজ জামান আনিসের ছোট ছেলে জালাল উদ্দিন রুমী রাজনও উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে উপ-নির্বাচনে দেবর ভাবির মধ্যে জোর প্রতিদ্বন্ধিতা হবে আগামী পৌরসভার উপ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে রাজনের পক্ষেও  প্রচার প্রচারণা চলছে। রাজন হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের অনুসারি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজন হাজী মো: ফয়সাল বিপ্লবের বিপক্ষে নির্বাচনের গণ সংযোগে অংশ নেন। তার সাথে তার বড় ভাই মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান রাজিব মৃনাল কান্তি দাসের পক্ষে নির্বাচনের প্রচার প্রচারণায় অংশ নেন। তবে রাজিব ও রাজনের পিতা মুন্সীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের তিন তিনবারের চেয়ারম্যান আনিস উজ জামান আনিস হাজী মো: ফয়সাল  বিপ্লবের পক্ষে নির্বাচনের গণ সংযোগে অংশ নিয়ে ছিলেন। তিনি তার বড় ভাইয়ের নির্দেশে ভাতিজার নির্বাচনে ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পিতা ও পুত্ররা দুইা ভাগে বিভক্ত ছিলেন। 

তবে মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে আনিস উজ জামান আনিস ছেলের পক্ষে থাকবেন নাকি ভাতিজার স্ত্রীর পক্ষে থাকবেন সেই দিকে তাকিয়ে আছেন এখানকার ভোটাররা। যদি চৌধুরী ফারিয়া আফরিন ও জালাল উদ্দিন রুমি রাজন আগামী উপ-নির্বাচনে উভয়ে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েই যান তবে একই বংশ থেকে দুই প্রার্থীর মধ্যে তীব্র লড়াই হবে। সেই নির্বাচন প্রতিদ্বন্ধিতা মুলক নির্বাচন হবে। এমনটাই ভাবছে এখানকার ভোটাররা। 

অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের তিন তিনবারের কাউন্সিলর হাজী মো: মকবুল হোসেন উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হতে পারেন। এমনটাই দাবি তাঁর সমর্থকের। তিনিও মৃণাল কান্তি দাসের একান্ত অনুসারি। যদি তিনি উপ-নির্বাচনে অংশ নেন তবে তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। আসন্ন উপ-নির্বাচনে যদি ঐ তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতার লড়াইয়ে থাকেন তবে এখানে ত্রিমুখি লড়াই হবে। 

তাছাড়া এ উপ নির্বাচনে শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহাতাব উদ্দিন কল্লোল মেয়র পদে প্রার্থী হবেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তিনি ইতিপূর্বে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরে যে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে ছিল সেখানে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে ছিলেন। কিন্তু আনিস উজ জামান আনিসের সাথে তিনি পরাজিত হন। এবার তিনি মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন। তিনিও মৃণাল কান্তি দাসের অনুসারি। তিনি এ নির্বাচনে অংশ নিলে সেখানে রাজন ও মকবুল প্রার্থী নাও হতে পারেন। তাতে তার সাথে আরফিনের জোর প্রতিদ্বন্ধিতা হবে। তাতে কে এ নির্বাচনে জয় লাভ করে তা বলা মুশকিল।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo