আশ্বাস প্রকল্পের আওতায় ও রূপান্তরের আয়োজনে শনিবার (২৪ মে) সকাল ১০ টায় মানব পাচার প্রতিরোধে রেফারেল পাথওয়ে নেটওয়ার্ক সক্রিয়করণ সভা খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম।প্রোগাম অফিসার মোঃ মোশারেফ আলী সোহেলের সঞ্চলনায় সভার মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সুবল কুমার ঘোষ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহাগ হোসেন, দিঘলিয়া থানার এস আই লিটন কুমার মন্ডল, আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা সামসুন্নাহার খানম, উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার মাকসুদা খানম, টিটিসির ইন্সট্রাক্টর মো: আনোয়ার হোসেন, দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদ, সাংবাদিক সৈয়দ জাহিদুজ্জামান, উপস্থিত ছিলেন, সেনহাটি ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ঝর্ণা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দিঘলিয়া ইউনিয়ন আনসার আলী বিশ্বাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদ মোঃ নূর আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বারাকপুর ইউনিয়ন তানভীন আক্তার ডলি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আড়ংঘাটা ইউপি আম্বিয়া আফরোজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা যোগীপোল ইউপি আসমা খাতুন, ইউপি সদস্য দিঘলিয়া ইউনিয়ন খান আরিফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য দিঘলিয়া নাজমুল ইসলাম, ইউপি সদস্য পাখি বেগম,পলি আক্তার, প্রধান শিক্ষক জুয়েল হাওলাদার, পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল্লাহ, ইউডিসি উদ্যোক্তা ওয়াহিদ মোড়ল রনি, সিটিসি সদস্য মাবিয়া আক্তার, আকিব হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও সভায় সরকারি কর্মকর্তা, মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্য, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, নারীনেত্রী ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন ।
সভায় জানানো হয়, এ জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থার কাঠামোর মূল কাজ হলো মানব পাচারের শিকার ব্যক্তির (ভিক্টিম) নারী ও পুরুষের যথাযথ সেবা প্রদান ও সেবা প্রদানকারী সংস্থা সমূহের মধ্যে একটি সমন্বয় কাঠামো তৈরী করা। এ কাজটির তদারকির দায়িত্বে থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন-নিরাপত্তা বিভাগের অধীন গঠিত “জাতীয় মানব পাচার দমন সংস্থা”।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, মানব পাচারে শিকার ব্যক্তির উদ্ধার থেকে শুরু করে তার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষায় পদক্ষেপসমূহ একই ছাতার নীচে নিয়ে আসা ও সেবাদানকারীদের সেবা প্রদানের সমন্বয় ও শেষ অবধি পরিচালনার জন্যে এ কাঠামোটি কার্যকর হবে বলে সরকার ও সংশ্লিষ্টজন মনে করছে। এর জন্য সেবা প্রদানকারী সরকারি ও বেসরকারি সকল সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্ত:যোগাযোগ ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় মানব পাচার হতে উদ্ধার প্রাপ্ত নারী ও পুরুষদের সনাক্তকরণ, সহায়তা প্রদান এবং পূনর্বাসন পরিসেবাগুলি সাথে রেফার করে সারভাইভারদের সকল প্রকার সেবা নিশ্চিতকরণের জন্য সকলে একমত পোষন করেন।
এ অনুষ্ঠানে উইনরক ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক আশ্বাস প্রকল্পের জন্য নির্মিত “আগুন পাখি” নামক একটি ডকুমেন্টরি ভিডিও দেখানো হয়। যেখানে মানব পাচারের শিকার সারভাইভারদের সংগ্রাম, বৈষম্য ও ফিরে আসার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য আশ্বাস প্রকল্পটি সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর বাস্তবায়নে খুলনা জেলায় ‘রূপান্তর’ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।