বগুড়ার আদমদীঘিতে সড়ক দূূর্ঘটনায় এক কিলোমিটার ব্যবধানের দূরত্বে প্রাণ গেল একই গ্রামের সাংবাদিক ও আনসার সদস্যের। নিহতরা হলেন উপজেলার উজ্জলতা গ্রামের সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৫৬) ও আনছার সদস্য রতন (৪৫)। বুধবার রাতে বগুড়া- নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার মুরইল ও প্রায় এক কিলোমিটার পশ্চিমে শিবপুর নামের পৃথকস্থানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, বুধবার রাতে নিজ গ্রামে পিকনিকের খাবার খেয়ে দৈনিক ভোরের কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু তাঁর প্রতিবেশি জামাই আতোয়ার হোসেনকে মোটরসাইকেলযোগে সাহারপুকুর বাজার এলাকায় রেখে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১১টার দিকে তিনি মুরইল বাজার অতিক্রম করে জয় ফিলিং স্টেশনের (পেট্রোল পাম্প) কাছে পৌঁছলে অজ্ঞাত কোনো ভারি যানের সাথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দেহ থেকে শরীর দ্বিখন্ডিত হয়। এদিকে একই দিন ওই দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র এক কিলোমিটার পশ্চিমে শিবপুর নামক স্থানে একই গ্রামের আনসার সদস্য রতন হোসেন বাইসাইকেল চালিয়ে আদমদীঘি সদরে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে সেখানে চিকিৎসাধীনঅবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে মেজবাউল মুরসালিনের দাবী, তার বাবা সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হননি। তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার বাবার মৃত্যুর সঠিক রহস্য উদঘটনের দাবীও জানান। আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, অজ্ঞাত কোনো বাস বা ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাংবাদিকে মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।