সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির প্রথম কর্মসূচি হিসেবে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি।
রবিবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তানভীর রহমানের নেতৃত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা জানান, আগামী ২৮ মে’র মধ্যে দাবি না মানা হলে ওইদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিদেওয়ার কথা জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দরা। আগামী ৩ জুলাইয়ের মধ্যেও দাবি না মানা হলে, ৪ জুলাই অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন। এরপরও দাবি না মানা হলে ১ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা চলবে না।
বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে এবং একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ও বাকৃবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো সাইদুর রহমান, শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা, আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র দাস, ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দু শতাধিক শিক্ষকবৃন্দ।
বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হলে আগামী ২৮ মে সারাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোর শিক্ষকরা একযোগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন। এ সময়ের মধ্যে পেনশনের বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনের সংশোধন না হলে ৪ জুন থেকে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একযোগে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২০ মে) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে আজকের দিন (২৬ মে) পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের নেতৃত্ববৃন্দরা। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের ওই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।